একজায়গায় একনাগাড়ে বসে থাকার চেয়ে অবশ্যই যেটি বেশি দরকারি সেটি হল নিজেকে একটু চালনা করা। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। বেশি বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে, মনের অসুস্থতা কিন্তু খুব স্বাভাবিক। অল্প পরিমাণে হলেও, ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা করা উচিত।
অল্প পরিমাণে ব্যায়ামের কারণেও, কিন্তু সঠিকভাবে ঘুম যেমন সম্ভব তেমনই হাড়ের জোর বাড়ে। স্কিন এবং চুলের হাজার সমস্যা মেটে। সঙ্গেই ডিপ্রেশন ভীষণ মাত্রায় কমে। জামা সাইক্রিয়াটিক জার্নালে প্রকাশিত বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিষন্নতা কমাতে ব্যায়াম প্রয়োজন। বিশ্লেষণের ফলাফল বলছে, ব্যায়াম শুধু ফিটনেসের জন্য নয় বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও দরকার। অনেকসময় দেখা যায়, হতাশা বেশি থাকলে কিন্তু শরীর নড়াচড়া করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তখন মনের সঙ্গে শরীরের ওপরেও প্রভাব পড়ে। তাই মানসিক চাবিকাঠি উন্নত করতে হলেই, শরীরচর্চা প্রয়োজন।
ডিপ্রেশনের সঙ্গে শরীরচর্চার সম্পর্ক ঠিক কেমন?
যদি কোনও ব্যক্তি সপ্তাহ জুড়ে দেড় ঘণ্টা হাঁটা অভ্যাস করে তবে তার মানসিক অসুস্থতা কমে গিয়ে হবে ১৮ শতাংশ। আবার যদি কেউ সারা সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা হাঁটে তবে সেই মাত্রা গিয়ে দাঁড়াবে ২৫%। যত পরিমাণে মানুষ শরীরচর্চা করবে তত ডিপ্রেশনের মাত্রা কমে। সারাদিন এক জায়গায় বসে না থেকে যদি কেউ একটু আধটু নড়াচড়া করে তাহলেও কিন্তু অনেকটা স্বস্তি।
চিকিৎসকরা কী বলছেন?
ডক্টর কেদার তিলওয়ে বলছেন, গবেষণার সঙ্গে আমি একমত। শারীরিক ব্যায়াম না থাকলে মানুষ মানসিক ভাবে অলস হয়ে পড়েন। একঘেয়েমি এবং ক্লান্তি ঘিরে ধরে মানুষকে। ফলেই ব্যায়াম করলে অনেক সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। কারণ এর ফলে এন্ডোরফিন বেশি মাত্রায় ক্ষরন হয় যার থেকে মেজাজের মাত্রা পরিবর্তন হতে পারে।
মানুষের বেচেঁ থাকার জন্য ইতিবাচক অনুভূতি প্রয়োজন। প্রতিদিন সময় করে ব্যায়াম করলে সেটি থেরাপির মত কাজ করে। সক্রিয় আচরণ করতে এবং মনের সুস্থতা বজায় রাখতে গেলেই অন্যান্য থেরাপির পাশাপাশি ব্যায়ামের পথেও যেতেই হবে। এতে মানসিক শান্তি থাকবে।