রোদচশমা। ২০১৯ এ দাঁড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনে ব্রাশ-টুথপেস্ট মতোই অতি জরুরি একটা শব্দ। রোদ থেকে চোখ বাঁচাতেও যেমন খুব দরকারি, ঠিক তেমনই আট থেকে আশির ফ্যাশন স্টেটমেন্ট অবশ্যই। মনের আয়না হয়ে উঠতে চাহনির জোর যতটা, আধুনিক ফ্যাশনের সংজ্ঞায় সানগ্লাসও ততটাই অপরিহার্য। কিন্তু রোদ চশমা যেমন খুশি একটা হলেই হবে না। মুখের আকৃতি বুঝে বেছে নিতে হবে সানগ্লাস।
২৭ জুন জাতীয় সানগ্লাস দিবস। এরকম দিনে সানগ্লাসের সাতকাহন একটু জেনে নেওয়াই যায়।
মানুষের মতোই বিবর্তনের নানা ধাপ পেরিয়ে আজকের চেহারায় এসেছে সানগ্লাস। ইতিহাস বলে প্রথম সানগ্লাসের ব্যবহার করত গ্রীনল্যান্ড, কানাডা, আলাস্কা, মূলত মেরু প্রদেশের ইনউইট উপজাতির মানুষ। প্রচণ্ড ঠান্দায় স্নো ব্লাইন্ডনেস থেকে বাঁচতে এক ধরণের চশমা পড়তেন এই উপজাতির মানুষ।
আরও পড়ুন, পেট ভরবে, আবার মেদ কমবে, আছে নাকি এমন খাবার?
দ্বাদশ শতকে চিননেশে বিচারকরা বিচার করার সময় এক ধরণের চশমা পড়তেন, যাতে বিচারাধীন ব্যক্তি বিচারকের মুখ দেখে কোনও আবেগের আভাস না পান।
View this post on InstagramAlways arrive in style. #NationalSunglassesDay #MarilynMonroe ????: #MiltonHGreene
A post shared by Marilyn Monroe (@marilynmonroe) on
হলিউডে সানগ্লাসের চল আসে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি। পাপারাৎজিদের ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানি থেকে চোখ বাঁচাতে সেলিব্রিটিরা ব্যবহার করা শুরু করলেন এই সানগ্লাস।
অড্রে হেপবার্ন, মেরিলিন মনরোরা জনপ্রিয় করে তুললেন ক্যাট আই ফ্রেমের রোদচশমা। ৬-এর দশকে এল মুখের চাইতে কিছুটা বড় ফ্রেম। সাতের দশক কাঁপাল ভিন্টেজ গোল ফ্রেম।
গোলপনা মুখ হলে চৌকো ফ্রেমের সানগ্লাস বাছুন। যাদের মুখ ডিম্বাকৃতি, খুব বড় ফ্রেমের সানগ্লাস ছাড়া তাঁদের সবই মানিয়ে যায়।
ওয়েফেরার স্টাইলের চল হালে খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
যাদের চিবুক সরু, তাঁরাও চৌকো আকৃতির চশমা বেছে নিন, মানানসই হবে।
Read the full story in English