Hangover Home Remedies: বছর শেষের বাকি আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে প্রস্তুত গোটা বিশ্ব। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে, ৩১ ডিসেম্বর রাতে অধিকাংশ মানুষ পার্টি, নাচ, গান, খাওয়া-দাওয়া ,বন্ধুদের সঙ্গে লং ট্যুর,সেই সঙ্গে মদ্য পান করেন। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, সারা বিশ্বে আজকের দিনে প্রায় ২৩০ কোটির বেশি মানুষ মদ্য পান করেন। সেই সঙ্গে তাদের নববর্ষের সকালটি 'হ্যাংওভার' দিয়ে শুরু হয়।
অনেকেই নিশ্চয়ই আজ সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে নতুন বছরের পার্টির প্ল্যানিং ইতিমধ্যেই সেড়ে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে 'হ্যাংওভার' এড়াতে কী কী করবেন? সেটা জানাটা বিশেষ জরুরি। সর্বোত্তম উপায় হল অ্যালকোহল পান না করা। কিন্তু যদি অ্যালকোহল খেতেই হয় তাহলে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
শারীরিক, আর্থিক দিক থেকে চাঙ্গা থাকুন! বছরের প্রথম দিন থেকে মেনে চলুন টপ সিক্রেট
হ্যাংওভার কী এবং কেন হয়?
অ্যালকোহল পান করার পর শরীরে যে আফটার ইফেক্ট হয় তাকে হ্যাংওভার বলে। হ্যাংওভার হয় কারণ অ্যালকোহল পান করার পর শরীরে অ্যাসিটালডিহাইড নামক রাসায়নিক নির্গত হয়। যখন আমাদের লিভার অ্যালকোহলকে শরীর থেকে অপসারণ করার জন্য প্রক্রিয়া করে, সেই প্রক্রিয়ায় এই রাসায়নিক শরীরে নিঃসৃত হয়, যা হ্যাংওভারের কারণ। এছাড়াও খালি পেটে অ্যালকোহল পান করা বা অ্যালকোহল পান করার পরে কিছু না খাওয়ার কারণেও হ্যাংওভার হতে পারে।
হ্যাংওভারের লক্ষণগুলো কী কী?
হ্যাংওভারের লক্ষণগুলি হল, মাথাব্যথা থেকে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া! হ্যাংওভারের লক্ষণ সাধারণত ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা খুব বেশি হয়ে গেলে বা শূন্যে নেমে গেলে হ্যাংওভারের লক্ষণগুলি শুরু হয়। এই লক্ষণগুলি সাধারণত রাতে খুব বেশি অ্যালকোহল পান করার পরের দিন সকালে দেখা দেয়।
হ্যাংওভার কাটাতে কী কী করবেন?
মদ্য পানের আগে এবং পরে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। আপনি যদি রাতে অ্যালকোহল পান করেন তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই কলা, ডাবের জল, কমলা লেবু খান। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।
হ্যাংওভার মোকাবেলার ঘরোয়া টিপস
গভীর রাতে অত্যধিক অ্যালকোহল পান করার কারণে যদি আপনার হ্যাংওভার হয়, তবে আপনি তা মোকাবেলায় কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করতে পারেন।
আগে থেকে ডাবের জল কিনে নিন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি দূর হবে।
গরম জলে কিছু আদার টুকরো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই জল শুধু হালকা গরম করে পান করুন। এতে বমি বমি ভাব, বমি হওয়ার মত সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে হ্যাংওভারের কারণে অস্বস্তি বোধ করলে লেবু জল পান করতে পারেন।
রাতে পার্টি থেকে বাড়ি এসে লেবু জলে একটু লবণ ও মধু মিশিয়ে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পান করুন। সকালে আপনার খুব একটা সমস্যা হবে না।