জীবনের লক্ষ্য কী? কেন আমাদের সবার জীবনের লক্ষ্য থাকা দরকার? সম্প্রতি অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেতা নাতালি পোর্টম্যান তাঁর একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এ-সব নিয়েই। নাতালি যা যা বলেছেন, সব কিন্তু আমাদের মনের কথা। আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে তার চেয়েও তুচ্ছ মানুষগুলোর সাফল্য, কৃতিত্ব আসলে কেন গুরুত্বপূর্ণ? ওইটুকু সাফল্যের পেছনে থাকা কাল ঘাম ঝরানো লড়াইয়ের কথা না জানলে সাফল্য কী, আসলে বোঝাই যায় না তা। অত্যাচারী স্বামীর ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে, রাতের পর রাত জেগে লুকিয়ে পড়াশোনা করে যে মেয়ে স্নাতক হয়, সে বিশ্বজয়ী। তাঁর দেখা আকাশ কিন্তু সে প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফিরে আসা ছেলেটা যখন নকল পায়ে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ভলিবলে, তাঁর সাফল্যও আকাশছোঁয়াই। সাফল্য আসলে আপেক্ষিক। যে যেখানে দাঁড়িয়ে, তাঁর সাফল্যকে, কৃতিত্বকে ধরতে হবে সেখানে দাঁড়িয়েই। এ সব তত্ত্ব কথা অজানা নয়, তবু নাতালি পোর্টম্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আরেকবার।
‘সাত চড়ে মুখে রা নেই’! মুখ খুলতে আজও ভয় দেশের মেয়েদের, বলছে সমীক্ষা
ভিডিওতে অভিনেতা বলেছেন, "জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে, যখন নিজের অনভিজ্ঞতার জন্য অথবা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার জন্য অন্যের ঠিক করে দেওয়ার সাফল্যের পরিমাপে আমরা নিজেকে মাপতে চাই। আমার কী কী করা উচিত ছিল, তাই দিয়ে নিজেকে বিচার করি আমরা। কী কী করতে পারি, সেটাই ভাবতে ভুলে যাই। অথচ জীবনে তুমি যে কিছু কৃতিত্ব অর্জন করছ, সেটা কখন বোঝা যায়? যখন আমরা জানি আমরা কী করছি, কেন করছি। আর যদি সে সব না জেনে করি, আমার সামনে যে কোনও মুহূর্তে একটা ফাঁদ চলে আসতে পারে"।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক আরও বলেন, "আমি ১১ বছর বয়স থেকে অভিনয় করছি। অনেক দিন পর্যন্ত আমি জানতাম অভিনয়টা এমন কোনও বড় কাজ নয়। স্নাতক হওয়ার পরেই আমি আর অপেক্ষা করতে পারিনি। অভিনয়ে ফিরে যাই। আমি মানুষকে গল্প বলতে চেয়েছিলাম। অন্যের জীবনকে নিজের ভেবে নিতে চেয়েছিলাম। আমি কেন অভিনেতা হলাম, তার পেছনে কারণ আছে। যেটা করছি, সেটা ভালোবাসি আমি", বললেন স্টার ওয়ারস (১৯৯৯), ব্ল্যাক সোয়ান (২০১০), এবং দ্য থর (২০১১)-এর অভিনেতা।
Read the full story in English