Valentines Day is Sisters Day in Pakistan University:
প্রেমিকের সঙ্গে লুকিয়ে চুরিয়ে গঙ্গার ঘাটে হাওয়া খেতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে গেলে স্কুল জীবনে কতবার ধোঁকা দিয়েছেন বন্ধুদের- "ও আমার কেউ নয়, পিসতুতো ভাই হয়"। আর বাড়ির বড়দের কাছে ধরা পড়লে কানমোলার মাঝেই নাকি সুরে কাঁদুনি শুরু হয়ে যেত, "সন্দীপার দাদা ওটা, ওকে টিউশনি থেকে নিতে এসেছিল, আমার কাছ থেকে হোমওয়ার্ক মিলিয়ে নিই..."। এখন ভাবলে খুব একচোট হেসে নেন ছেলেমানুষির দিনগুলোর কথা ভেবে। সে সব 'সোনালি দিন' ফিরতে চলেছে আবার। প্রেম দিবস এখন থেকে পালিত হবে 'বোন দিবস' হিসেবে। কলকাতায় নয় যদিও, তবে খুব দূরে কোথাও নয়।
![]()
বাংলায় বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। দিন চারেকের ফারাকে প্রথমে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে, থুড়ি সরস্বতী পুজো। বাসন্তী শাড়ি সামলাতে ব্যস্ত সরস্বতীরা সেদিন কিশোর থেকে তরুণ মন তোলপাড় করে এ পাড়া ও পাড়া উড়ে উড়ে বেড়াবে। তারপর আন্তর্জাতিক প্রেম দিবস। মানে তারপর গোটা বসন্তটা তো রইলই পড়ে। কিন্তু প্রতিবেশি দেশটার কথা ভাবুন একবার। বলছি পাকিস্তানের কথা। হ্যাঁ, সেখানকার ফয়সালাবাদের কৃষিবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় জারি করেছে নয়া ফরমান। ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করতে হবে বোন দিবস। পাক সংবাদপত্র ডন-এ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এই খবর।
আরও পড়ুন, কুকুর নয়, প্রাক্তনের নামে আরশোলা পোষাই প্রেম দিবসের নতুন ট্রেন্ড!!
![]()
ফয়সালাবাদ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারের উপাচার্য জাফর ইকবাল ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন তা। ওই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়েরা তাদের বোনেদের স্কার্ফ এবং বোরখা উপহার দিতে পারেন চাইলে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র ধারণা পশ্চিমী সভ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও পাকিস্তানের ইসলামী সভ্যতায় খাপ খায় না তা। এই যুক্তি দেখিয়ে 'প্রেম দিবস' কে 'বোন দিবস'-এ বদলে ফেললেন জাফর ইকবাল। জানিয়েছেন ইসলাম নারী স্বাধীনতা এবং সুরক্ষাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি 'বোন দিবস' পালন করেই নারীর প্রতি সম্মান জানানো যায় বলে ইকবালের দৃঢ় বিশ্বাস।
রাতারাতি প্রেম দিবস কে বোন দিবসে বদলে ফেলা হবে, আর নেট দুনিয়া হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, তা কী হয়? টুইটারে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
কেউ কেউ সেখানে প্রশ্ন তুলেছে, যে দেশে সম্পত্তিতে মহিলাদের সমানাধিকার নেই, সেখানে 'বোন দিবস' পালন করে মহিলাদের সম্মান জানানো যায় কী"? কেউ বলছেন, জোর করে প্রেম দিবসকে দেশের বোনেদের জন্য উৎসর্গ করা আসলে সাংস্কৃতিক বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই না।