Advertisment

সন্তানের স্বাধীনতায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন বাবা-মায়েরাই

মা এবং মেয়ে আলাদা দুটো সময়ে বড় হয়েছে। দুই সময়ের ইতিহাস সম্পূর্ণ আলাদা। স্বাভাবিক ভাবেই দুই প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, পছন্দ সবই ভিন্ন হতে বাধ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
parents

'রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করোনি' ... সেই কবে বলে গিয়েছিলেন রবি ঠাকুর। কিন্তু এখন বোধহয় আর শুধু বাঙালিদের বলা যাবে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে বাচ্চাদের স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার পথে বাধা আসলে বাবা মায়েরাই। ভবিষ্যতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হলে সেখানেও সমস্যায় পড়তে হয় সন্তানদের।

Advertisment

১৪ থেকে ১৮ বছরের সন্তান রয়েছে, এমন ৮৭৭ জন অভিভাবককে নিয়ে সমীক্ষা হয়েছিল ব্রিটেনে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সারাহ ক্লার্ক বলেছেন, "গবেষণার পর আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি, শৈশব থেকে কৈশোরে আসার সময় বাবা মায়েদের সন্তানদের যে ভাবে বড় করা দরকার, সেভাবে তাঁরা করেন না। সন্তান যখন তার প্রাপ্তবয়সে পৌঁছচ্ছে, নিজের ভাল থাকা, আর্থিক দায় দায়িত্ব, নিজের কাজ সবকিছুর খেয়ালই সন্তানের নিজেরই রাখা উচিত। কিন্তু সে পারে না"।

‘সাত চড়ে মুখে রা নেই’! মুখ খুলতে আজও ভয় দেশের মেয়েদের, বলছে সমীক্ষা

দিল্লির মনিপাল হাসপাতালের মনোবিদ ভগত রাজপুত বললেন, "বড় হওয়ার সময় সন্তানদের একটু স্বাধীনতা তো দিতেই হবে। তবে যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়, জেনারেশন গ্যাপ। অভিভাবক এবং তাঁদের সন্তানদের মধ্যে প্রজন্মের ব্যবধান থাকায় সমস্যা বাড়তে থাকে। কারণ মা এবং মেয়ে আলাদা দুটো সময়ে বড় হয়েছে। দুই সময়ের ইতিহাস সম্পূর্ণ আলাদা। স্বাভাবিক ভাবেই দুই প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, পছন্দ সবই ভিন্ন হতে বাধ্য"।

অ্যাপোলো হাসপাতালের এক মনোবিদ অচল ভগত বললেন, "অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে, বাচ্চাদের যেমন শাসন করতে হবে, তেমন পাশেও থাকতে হবে। সন্তান কী বলতে চায়, শুনতে হবে। কিছু সিদ্ধান্ত সন্তানকেই নিতে হবে। বাবা মায়েরা সন্তানের হয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন না"।

Advertisment