করোনা মানুষের থেকে অনেককিছু কেরে নিয়েছে। কারওর প্রাণ তো কারওর অর্থ উপার্জনের পথ। সেই নিয়েই মন মানসিক ঠিক নেই কারওর। করোনা পরবর্তীতে মানসিক অশান্তির নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে উদ্বেগ, চাপ এবং মানসিক ক্ষতির শিকার অনেকেই, ক্রমশ বাড়ছে সেই সংখ্যা। চিকিৎসক প্রীতি চাওলা বলছেন, দিনের পর দিন মানুষের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি করে চাগাড় দিচ্ছে। তিনি আরও বলছেন, এটি আদৌ ভয় না। বরং নতুনকে গ্রহণ করার এক চাপা অনুভূতি! যদি ফের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এই চিন্তাই গ্রাস করছে তাদের।
তারসঙ্গে বাড়িতে বসে থেকে থেকে গৃহবধূ দের এবং ছাত্র ছাত্রীদের অবস্থা খুবই খারাপ। তারা মানসিক এবং শারীরিক দুই ভাবেই সমস্যায় ভুগছে। স্ট্রেসের সঙ্গে যুজতে গেলে আগে একে বোঝা দরকার, নিজেকে শান্ত রাখা দরকার।
অনুভূতির সঙ্গে মোকাবিলা করুন :
নিজে কেমন অনুভব করছেন সেটি সকলের সামনে স্বীকার করুন। নিজের মনের প্রতি সৎ থাকুন। যা ভাবছেন যেমন ভাবছেন সেটিকে লিখে রাখুন। তাহলে পরে পরীক্ষা করতে সুবিধা হবে। নিজের ভাবনাকে নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে দূরে রাখুন। যখন খাতায় লিখবেন কোনটি আপনার সঙ্গে যায় না, সেটিকে বোঝার চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন, নিজেকে শান্ত রাখুন। আচরণ নম্র ভদ্র রাখুন, সবসময় বিচার করা বন্ধ করুন।
অনিশ্চিত কিছু নিয়ে বেশি ভাববেন না। জীবনের ওপর অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন না। সর্বদা যেমন চাওয়া হয় সেটা পাওয়া যায় না। সময়ের আগে পরিকল্পনা করলে সেটিও যে সম্ভব হবে, ভাবনা না রাখাই ভাল। অনিশ্চয়তা জীবনে এক বিরাট জায়গায় রয়েছে।
নিজেকে শান্ত রাখতে কী কী করবেন?
- অবশ্যই প্রাণায়াম করুন। মন থেকে সুস্থ থাকুন। শরীরচর্চা করতেই পারেন। জগিং, ড্যান্স, স্কিপিং, স্পোর্ট এগুলি ভাল কাজ করতে পারে। সঙ্গেই গা হাত পায়ে ব্যাথা, ডিপ্রেশন সব কিছুই কমবে।
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। জাঙ্ক ফুড এবং ভাজাভুজি খাওয়া ছেড়ে দিন। টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। শরীরের ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
- শরীরের প্রয়োজনে বিশ্রাম নিন। কম করে সারাদিনে ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম স্ট্রেস কাটাতে খুব দরকার। আবার স্ট্রেস থাকলেও ঘুম আসতে চায় না, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঘুম না হলে হার্টের রোগ, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য সমস্যা দেখা যায়।
- শরীরে প্রয়োজন সূর্যের আলোর। কম করে প্রতিদিন ২০ মিনিট সূর্যের আলোর ভিটামিন ডি গায়ে লাগানো খুব দরকার। এর থেকে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে।
- সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল রাখুন। যোগাযোগ রাখুন, কথা বলা বন্ধ করবেন না। ভিডিও কলে কথা বলা অভ্যাস করুন। নিজের জন্য সময় বের করুন, নইলে মুশকিল।