বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় এসেছিলেন স্বামীজি, সেই শিকাগোতেই বসল রামকৃষ্ণদেবের সর্ববৃহৎ মূর্তি
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি অফ শিকাগোর অধ্যক্ষ স্বামী ঈশাত্মানন্দ মহারাজের উদ্যোগে শিকাগো শহরে উদ্বোধন হয়ে গেল 'হোম অফ হারমনি'র।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি অফ শিকাগোর অধ্যক্ষ স্বামী ঈশাত্মানন্দ মহারাজের উদ্যোগে শিকাগো শহরে উদ্বোধন হয়ে গেল 'হোম অফ হারমনি'র।
এই ভবনটিতেই প্রতিষ্ঠা করা হল এই মুহূর্তে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বিশ্বের সবচেয়ে বড় মূর্তি।
বর্তমান পৃথিবীর এই সাম্প্রদায়িক অশান্তির পরিবেশে, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা নিয়ে এক নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার ডাক দিল বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি অফ শিকাগো। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি অফ শিকাগোর অধ্যক্ষ স্বামী ঈশাত্মানন্দ মহারাজের উদ্যোগে শিকাগো শহরে উদ্বোধন হয়ে গেল 'হোম অফ হারমনি'র। উদ্বোধন করেন স্বামী সর্বদেবানন্দ মহারাজ।
Advertisment
পৃষ্ঠপোষকতা ও দেখভালের অভাবে নষ্ট হতে চলা এক গির্জাকে কিনে সেই গির্জাকেই নবরূপে সজ্জিত করে গড়ে তুললেন 'হোম অফ হারমনি'। এই ভবনটিতেই প্রতিষ্ঠা করা হল এই মুহূর্তে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বিশ্বের সবচেয়ে বড় মূর্তি। যেটি উচ্চতায় ২২ ফুট। এই মূর্তিটি স্বামী ঈশাত্মানন্দ মহারাজের পরিকল্পনায় কলকাতা থেকে ওনার শিষ্য অনুপ পান তৈরি করিয়ে জাহাজে করে শিকাগো পাঠান।
শিকাগো শহরে উদ্বোধন হয়ে গেল 'হোম অফ হারমনি'র।
উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন দেশের সন্ন্যাসী মহারাজরা যাঁরা ইহুদি, খ্রিস্টান, ইসলাম, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ এবং জরথুস্ট্র ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিদেশে যুক্ত আছেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা। তাঁরা প্রত্যেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা নিয়ে এক নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অপেরা সিঙ্গার ড্যানিয়েল হ্যান্ডরিক। বেলুড় মঠ থেকেও অধ্যক্ষ মহারাজ স্বামী স্মরণানন্দজির বার্তা পৌঁছয় শিকাগোতে। সেদিনের এই অনুষ্ঠানে সবশেষে প্রদর্শিত হল ভারতবর্ষের ইতিহাস ও স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের উপর আধারিত এক তথ্যচিত্র "Swami Vivekananda- A Bridge between the East and the West"। যেটি পরিচালনা করেন বাংলার প্রযোজক ও পরিচালক অনুপ পান।