Advertisment

ব্যায়ামের প্রতি ভীষণ ঝোঁক? শরীরের ঠিক করে খেয়াল রাখছেন তো?

শরীরের ওপর অত্যধিক চাপ থাকলেও কিন্তু মুশকিল, একে কিছু সময়ের জন্য বিরতি দিন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

সারাদিনের ব্যস্ততা পরিশ্রম কাটিয়েও কিছু মানুষ আছেন যারা ভ্যান কিংবা শরীরচর্চার প্রতি ভীষণভাবে আকৃষ্ট। অর্থাৎ জা খুশি হয়ে যাক না কেন তারা এটি বাদ দিতে এক্কেবারে নারাজ! অনেক সময় ব্যায়াম করতে গিয়ে হোক কিংবা শরীরচর্চা করতে গিয়েও হাতে পায়ে টান লাগে, ব্যাথা হয় - এর থেকে সুস্থতা না পেলে কিন্তু খুব মুশকিল! অর্থাৎ, ইংরেজি ভাষায় রিকোভারি করা খুবই প্রয়োজন, কিন্তু কেন? 

Advertisment

বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরচর্চা কিংবা ব্যায়ামের ক্ষেত্রে এটি খুব দরকারী। হাতে পায়ে টান লাগল অথবা ব্যথা পেলে একেবারেই সেই অবস্থায় ব্যায়াম করা উচিত নয়, এতে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যায়াম করলে কিংবা শরীরের দিকে নজর না দিলে, নিজেকে সুস্থ না করলে খুব মুশকিল, এমনকি গুরুতর সমস্যার দিকে যেতে পারে মানুষ। তাই নিজের দিকে তাকানো উচিত। 

অপটিমাল রিকোভারির মাধ্যমে, শরীরের পেশীগুলো সুস্থ রাখা যায় এমনকি একে নতুন সক্রিয়তা প্রদান করা যায়। পেশীর ফোলাভাব কমতে থাকে। সঙ্গেই দৈহিক গঠনের ক্ষেত্রে এটি বেশ ভাল ভূমিকা নিয়ে থাকে, সুতরাং সম্পূর্ণ বিষয়টি বেশ ভাল। কীভাবে সম্ভব এই অপটিমাল রিকোভারি? 

ব্যায়াম করার পরে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ভারী কাজ করবেন না। নিজেকে আগে শান্ত করুন। অল্প জল খান। মনে রাখবেন মাটিতেই বসতে হবে, নিজেকে ঠান্ডা করুন। শরীরের ওপর বেশি ধকল পড়লে মুশকিল। 

ব্যায়ামের পর ভাল পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া খুব দরকার। কারণ ব্যায়ামের সময় শরীরে যেমন চাপ পড়ে তেমনই এর থেকে কার্ব ফ্যাট সবকিছুই বেরিয়ে যায় তাই প্রোটিন দিয়ে সেটিকে পূর্ণ করা প্রয়োজন নয়তো মুশকিল। 

সঠিক পরিমাণে জল খান, কারণ জল শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করতে পারে। শরীরের ভারসাম্য যেমন বজায় থেকে তেমনই উপযুক্ত পরিমাণে ফ্লুইড শরীরে থাকেই। 

অ্যাক্টিভ রিকোভারি খুব দরকার। যেমন, হালকা সাইকেল চালানো কিংবা ঘাসে শুয়ে থাকা অথবা বাড়িতেই বালিশ কোমরের নিচে রেখে কিছুক্ষণ ওপরের দিকে তাকিয়ে থাকা, এগুলি জরুরি। এতে পেশীর সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই ঠিক থাকে, শরীরে একধরনের আরাম থাকে। 

ঘুম কিন্তু আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শরীর শুধু খেটেই যাবে কিন্তু বিশ্রাম পাবে না এটা করলে খুব বিপদ, সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন এর থেকে ক্লান্তি কমবে, কোষের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরে প্রশান্তি থাকবে। 

Human body health exercise
Advertisment