মানুষ এখন মানসিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ তার প্রথম এবং প্রধান কারণ চারিপাশের পরিস্থিতি। এবং এর সঙ্গে তাল মিলিয়েই শিক্ষা থেকে পেশা সর্বত্রই ব্যর্থতা এবং সমস্যার অন্ত নেই। তাই যেকোনও মানুষের জিবনে উদ্বেগ থাকাটা খুব স্বাভাবিক এখন। কিন্তু এর সঙ্গে যুজতে পারে কজন? কথায় বলে শরীরের থেকেও বেশি এখন মানসিক চাপের কারণে মানুষ বেশি নড়বড়ে।
মন খারাপের সঙ্গে সঙ্গে একে ঠিক করার উপায় জানতে হয়। যত তাড়াতাড়ি এর থেকে বেরনো যায়, ততই ভাল। মনস্তত্ত্ব বিদ শ্বেতাম্বরা সবারওয়াল অন্তত তাই মনে করেন। তার বক্তব্য মন খারাপ থেকে কিংবা উদ্বেগ কাটিয়ে আমরা সহজে বেরতে পারি না আর এটিই আসল সমস্যার কারণ। সবসময় ভাল কিছুকে আঁকরে ধরতে হয়। ভাল লাগার বিষয়গুলিকে ধামাচাপা দিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। সেগুলিকে নিয়েই আরও এগিয়ে যেতে হয়।
তিনি আরও বলেন সবসময় একশ শতাংশ ভাল থাকতে হবে এমন কোনও কথা নেই। যখনই আপনার মন এবং মস্তিষ্ক সঙ্গ দেবে না তখনই আগে নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন, কেন এবং কী কারণে আপনি এমন কিছু অনুভব করছেন সেটি বুঝতে পারলেই অর্ধেক সমস্যার সমাধান এবং সেই সঙ্গেই বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করুন, নিজেকে তার সঙ্গে মানানোর চেষ্টা করুন পরোক্ষেই সেটি আপনাকে কীভাবে আঘাত করতে পারে সেটিও দেখে নিন। সমস্যার সমাধান করতে গেলে তার গোড়াতে যাওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়।
তবে এর সঙ্গেই তিনি একটি নিদারুণ টিপসের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন সেটি হল, 3-3-3 রুল। এটি মনস্তাত্বিক চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী একটি পদ্ধতি। কীভাবে এটি আপনার উদ্বেগের মাত্রা কমাতে পারে? এমন তিনটি করে বিষয় যেগুলি আপনার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। যেগুলি ছাড়া আপনার চলা দায়! তার মধ্যে প্রথম হতে পারে - এমন তিনটি শব্দ যেটি শুনলে আপনার কান এবং মন আরাম পায়, আপনি শান্ত বোধ করেন।
দ্বিতীয় হতে পারে - শরীরের তিনটি অঙ্গ যথা আঙ্গুল - কাঁধ এবং পায়ের পাতা এগুলি সেই সময় নড়াচড়া করা।
তৃতীয় হতে পারে - এমন তিনটি জিনিস যেগুলি সেই মুহূর্তে আপনি দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। এগুলি আর কিছুই নয়, একাধারে মন শান্ত করতে বেশ কাজে দেয়।
এখানেই শেষ নয়, তার পরামর্শ অনুযায়ী যখনই বুঝবেন আপনার মস্তিষ্ক সাধারণ সময়ের থেকে বেশি মাত্রায় চিন্তিত হয়ে উঠছে তখনই নিজেকে সেই ভাবনা থেকে দূরে সরান প্রয়োজনে অন্য কোনও কাজে মন দিন। যদি একান্তই কিছু ভাল না লাগে তবে বাগানের পরিচর্যা করতে পারেন। সবুজ পরিবেশের সময় কাটানো বেশ ভাল। মন খারাপকে কখনই জাঁকিয়ে বসতে দিতে নেই, নিজেকে আলগা রাখুন, এমনিই সুস্থ থাকবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন