চারিদিকের যা পরিস্থিতি তাতে শরীর ঠিক রাখাই দায়। নয়তো ভাইরাসের প্রকোপ কিংবা অত্যধিক ঠান্ডা! মানুষের বেঁচে থাকা যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এইসময় দাঁড়িয়ে প্রচুর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যোগা কিংবা ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ হিতকর। কিন্তু সময় বুঝে তারপরেই কিন্তু ব্যায়াম করা উচিত। অর্থাৎ সবসময় সবার জন্য ব্যায়াম নয়। কেউ কেউ আছেন যারা কোনও সাপেক্ষেই জিম যাওয়া কিংবা শরীরচর্চা বন্ধ করেন না। কিন্তু এটি কী আদৌ ঠিক?
প্রসঙ্গে সঠিক ধারণা দিয়েছেন ফিটনেস কোচ, কায়লা ইটসাইনস। তিনি বলছেন শরীর যখন অত্যধিক মাত্রায় দুর্বল এবং একেবারেই সুস্থ নয় তখন কিন্তু ব্যায়াম করা একেবারে ঠিক নয়। যখন শরীর সঙ্গ দেবে না, তখন কিন্তু এই কাজ থেকে ব্যাহত থাকা উচিত। বিস্তারিত ভাবে পরে তিনি জানান যে এটি কেন করা উচিত?
তিনি বলেন, যখন এটি শরীর খারাপ এবং দুর্বলতার প্রসঙ্গ, তখন অবশ্যই শরীরচর্চা থেকে দূরেই থাকা উচিত। বিশেষ করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার থেকেও হতে পারে ক্রনিক দুর্বলতা। এবং তার কারণগুলি কী কী?
যখন একজন মানুষের শরীর দূর্বল থাকে তখন, অবশ্যই যে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত, সেটি হল বেশি করে বিশ্রাম নেওয়া। এইসময় শরীরের কোনোকিছু সঠিকভাবে কাজ করে না। বেশি খাটনি হলে আরও ইমিউনিটি পড়ে যেতে শুরু করে তখন কিন্তু তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায়না।
আবার অনেকেই মনে করেন ঠান্ডা লাগলে সর্দি কাশি হলে ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চার মাধ্যমে ঘাম বেরিয়ে গেলে অনেকটাই শরীর ঠিক হয়ে যায়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, বরং তার বদলে নিজেকে আরামে রাখুন, ভাল রাখুন, চেষ্টা করুন একদম শুয়ে বসে থাকতে।
অন্তত এই সময় বাইরে বেরনো একেবারেই উচিত নয়। যত রাস্তায় যাবেন, ততই শরীরে অন্যান্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকবে তাই এইসময় হাঁটা কিংবা দৌড়ানো কোনোটাই ঠিক নয়। তাই শরীর অসুস্থ থাকলে লাগাম দিন, সুস্থ থাকুন একেবারেই বাড়াবাড়ি করবেন না।
কীভাবে আবার শরীরচর্চা শুরু করবেন?
তার বক্তব্য, ধীরে ধীরে যখন সুস্থ হবেন তখন চটজলদি ভারী কিছু করবেন না। হালকা যোগ ব্যায়াম কিংবা কম খাটনির ব্যায়াম দিয়েই শুরু করুন। পরে যখন অনুভব করবেন যে ধীরে ধীরে শরীর ঠিক হচ্ছে তখন সময় এবং শরীর বুঝেই না হয় এর মাত্রা বাড়াবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন