Subhaschandra-Durga Puja: যতদিন কংগ্রেসে ছিলেন, ততদিন সরাসরি সশস্ত্র অভ্যুত্থানের কথা না বললেও শাক্ত মতালম্বী কুলীন কায়স্থ পরিবারের সন্তান সুভাষচন্দ্র বসুর শক্তি ও শস্ত্রের আরাধনার প্রতি যে বিপুল অনুরাগ ছিল, সেটা তাঁর জীবনকাহিনী ও নানা লিখিত রচনায় অত্যন্ত সুষ্পষ্ট।
সুভাষচন্দ্র বসুর সব থেকে নিরপেক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য জীবনী গ্রন্থের লেখক বিখ্যাত গবেষক লিওনার্ড গর্ডন তাঁর বইতে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন যে, '...Bose chose to worship the divine in the form of the Mother Goddess, especially as Durga or Kali.'
এই দুর্গা অথবা কালীর সঙ্গেই সুভাষচন্দ্র মিলিয়েছিলেন তাঁর দেশমাতৃকাকে। তাঁর নিজের ভাষায়, 'দুর্গামূর্তির মধ্যে আমরা মা, স্বদেশ, বিশ্ব সমস্ত পাই। তিনি একাধারে জননী, জন্মভূমি ও বিশ্বময়ী।' এহেন এক দেশপ্রেমিক যে দুর্গা আরাধনাকে তাঁর ধর্মীয় আবেগ এবং রাজনৈতিক জনসংযোগের কৌশলের মধ্যে সেতুবন্ধনের মত ব্যবহার করবেন, সেটা বলাই বাহুল্য এবং ১৯২৫ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তাঁর ভারতের মাটিতে কাটানো রাজনৈতিক জীবনে সুভাষচন্দ্র বারবার সেটা করেছেন- বার্মার জেলখানা থেকে কলকাতার বাগবাজার, বারবার নানা দুর্গোৎসবে নিজেকে জড়িয়েছেন সুভাষচন্দ্র।
১৯২৪ সালের ১২ জানুয়ারি, অত্যাচারী পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্টকে হত্যা করতে গিয়ে গোপীনাথ সাহা খুন করে বসলেন আর্নেস্ট ডে নামে এক নিরীহ নিরপরাধ ইউরোপিয়ানকে। সারা কলকাতায় শুরু হল ব্যাপক ধরপাকড়- ১৯২৪ সালের ২৫ অক্টোবর, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়া শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল সুভাষচন্দ্রকে। তিনি সেই সময় কলকাতা কর্পোরেশনের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ছিলেন।
১৯২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সুভাষচন্দ্রকে কলকাতা থেকে সরানো হল বার্মার মান্দালয়ের জেলখানায়। যেখানে একসময় প্রায় ৬ বছর বন্দি ছিলেন লোকমান্য তিলক। মান্দালয়ের সেই জেলে সুভাষচন্দ্রের সহবন্দি ছিলেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় দীক্ষিত বাংলার বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের অনেকে। যেমন- সত্যেন্দ্রচন্দ্র মিত্র, সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ, মদনমোহন ভৌমিক, সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী, বিপিনবিহারী গাঙ্গুলি, ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জীবনলাল চট্টোপাধ্যায়- প্রমুখ।
সুভাষচন্দ্র নিজেই লিখেছেন যে, 'ভয় জয় করার উপায় শক্তি সাধনা। দুর্গা, কালী প্রভৃতি মূর্তি শক্তির রূপবিশেষ...পূজার উদ্দেশ্য- মনের মধ্যে শক্তির বোধন করা...।' সেই সুভাষচন্দ্র যুগান্তর দলের এই বিপ্লবীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্থির করেন যে তিনি কারাগারে রীতিমতো মূর্তি গড়ে দুর্গাপুজো করবেন। কারণ, '...এই উৎসবটি হিন্দুরা, বিশেষ করে বাংলাদেশের সব হিন্দু উদযাপন করে-।'
উপরের লাইনগুলো-সহ সুভাষচন্দ্র চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যসচিবকে। সেবছর দুর্গাপুজো ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ওই পুজোর আনুমানিক বাজেট ছিল প্রায় ৭০০ টাকা। যার মধ্যে ৫০০ টাকা সরকারের তরফ থেকে দেওয়ার অগ্রিম মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সহৃদয় ইংরেজ জেলসুপার মার্শাল ফিল্ডলে। বন্দিরা নিজেরা ১৪০ টাকা চাঁদা দিয়েছিলেন।
সেই সময় বার্মা মুলুকে প্রচুর বাঙালি থাকতেন। সংবাদপত্রের রিপোর্ট বলছে, সেই সময় মান্দালয় জেলের কারাবন্দিদের এই পুজো ছাড়াও মান্দালয়ে আরও পাঁচটা দুর্গাপুজো হয়েছিল। সুভাষচন্দ্র জেল কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে একজন দক্ষ পুরোহিতকে এনে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর কথা ছিল, '...দুর্গাপুজো করা খুব কঠিন কাজ। সাধারণ পুরোহিতদের মধ্যে সামান্য কয়েকজনই এই পুজো সম্পন্ন করতে পারেন।--'
তবে, খুব সম্ভবত তাঁর সেই অনুরোধ রক্ষা করা হয়নি। এই পুজো নিয়ে সুভাষচন্দ্র এতটাই উত্তেজিত ছিলেন যে, পুজোয় নিজের এবং সহবন্দিদের জন্য নতুন কাপড় পাঠানোর অনুরোধ করে বাড়িতে বউদিকে চিঠি পর্যন্ত লিখেছিলেন। তাঁর মেজদাদা শরৎচন্দ্র নয় জনের জন্য নতুন ধুতি, চাদর ইত্যাদি পাঠিয়েছিলেন। যদিও সেগুলো জেলে গিয়ে পৌঁছেছিল পুজোর পর।
কেমন ছিল পরাধীন ভারতের সেই প্রথমবারের মত কারাগারে হিন্দু দেবীর আরাধনা? সুভাষচন্দ্রের নিজের বর্ণনায় এর খুব বেশি বর্ণনা না থাকলেও সে যুগের কয়েকটি স্বদেশি সংবাদপত্রে এর বিক্ষিপ্ত কিছু বর্ণনা আছে। ১৯২৫ সালের ৮ অক্টোবর 'The Forward' পত্রিকা লিখেছে, 'It was a great curiosity with the public to know as to how the puja in jail took place.' সংবাদপত্রের রিপোর্ট বলছে যে সরকার দু'জন পুরোহিতকে জেলের ভিতরে গিয়ে পুজো করার অনুমতি-সহ যাবতীয় ব্যবস্থাই করেছিল। যাতে বন্দিদের পুজো ভালোভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করেছিল।
সুভাষচন্দ্র ও তাঁর বন্ধুরা এই পুজোয় ইউরোপিয়ানদের সঙ্গে কোনওরকম বিদ্বেষ বা বিভেদমূলক ব্যবহার করেননি বরং ১৯২৫সালের ২১ সেপ্টেম্বর সুভাষচন্দ্র স্বয়ং জেলসুপারকে ব্যক্তিগত চিঠি দিয়ে এই পুজোয় ডেপুটি কমিশনার, বার্মার ম্যাজিস্ট্রেট এবং বার্মার অন্যান্য বেসরকারি অতিথিদের পুজোয় নিমন্ত্রণ করেছিলেন।
তাঁর সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রচুর সংখ্যক ইউরোপিয়ান দুর্গাপুজোয় যোগ দিয়ে নানা মিষ্টি এবং ফলপ্রসাদ গ্রহণ করেছিলেন, সে বর্ণনাও আছে। সংবাদপত্রের ভাষায় কারাবন্দিদের এই ভোজনের আয়োজন ছিল, 'sumptuous'। সুভাষচন্দ্রের এই পুজোয় দেবীর চালচিত্রে বাংলায় লেখা ছিল, 'বন্দে মাতরম।' বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠের সন্ন্যাসীদের মতই দেশ আর দেবীকে একাত্ম করার কাজটা সেদিন প্রতিমার মধ্যে করে ফেলেছিলেন সুভাষচন্দ্র ও যুগান্তর গোষ্ঠীর বিপ্লবীরা।
বিজয়া দশমীর দিন জেলার সাধারণ মানুষকে জেলের গেটে কারাবন্দিদের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ দেন। সেখানেই বন্দিদের হাত থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য স্থানান্তরিত হয় সরকারি কর্তৃপক্ষের হাতে। স্বয়ং সুভাষচন্দ্র ও সত্যেন্দ্রচন্দ্র মিত্র মাথায় রক্তচন্দনের টিকা পরে জেলের গেটের সামনে মানুষের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁদের সেই তেজদীপ্ত চেহারার বর্ণনা দিয়ে Forward পত্রিকা লিখেছিল, '...with red sandal paste on their foreheads glowing like the worthy sons and worshipper of Maha Shakti.'
যদিও খুব বেশি মানুষ না আসায় সুভাষচন্দ্র ও সত্যেন্দ্রচন্দ্রকে বিফল মনোরথ হয়ে আবার জেলের ভিতরে ফিরে যেতে হয়। স্থানীয় বাঙালি গোয়ালারা প্রতিমা বহন করে বিসর্জনের জন্য ইরাবতী নদীর তটে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন শহরের ছ'টি প্রতিমাই প্রায় একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইরাবতী নদীর তীরে। সারা শহরের প্রায় সমস্ত বাঙালি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সবার বিমুগ্ধ দৃষ্টি সেদিন আটকে ছিল 'বন্দেমাতরম' লেখা কারাগৃহের দুর্গা প্রতিমার দিকে।
যেহেতু জেলের মধ্যে সাধারণ দর্শনার্থীদের কোনও প্রবেশ বা প্রসাদ বিলির ব্যবস্থা ছিল না, সেহেতু সুভাষচন্দ্র ও তাঁর দল বিসর্জনের ঘাটে প্রতিমার সঙ্গে প্রচুর প্রসাদ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতড়নের জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেই প্রসাদ সংবাদপত্রের ভাষায়, '...received with reverence and pride.'
ফরোয়ার্ড পত্রিকায় ১৯২৫ সালের ১১ অক্টোবর বিএন ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি সম্পাদক সমীপেষু কলমে লিখেছিলেন যে সুভাষচন্দ্রকে দেখবার জন্য তিনি বিসর্জনের দিন জেলের গেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সুভাষচন্দ্রকে গেটের বাইরে আসতে দেওয়া হয়নি। তিনি সুভাষচন্দ্রকে দেখার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু, তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নিজের রাজনৈতিক গুরু দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুর সময় মান্দালয়ের জেলে বন্দি ছিলেন সুভাষচন্দ্র। সারাজীবন এই দুঃখ তাঁকে দুঃখিত করেছে। তবে, মনে হয় যে মান্দালয় জেলে দুর্গাপুজো করতে পারার আনন্দ তাঁকে সেই দুঃখ কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দিতে পেরেছিল। সেই জন্যই সুভাষচন্দ্র তাঁর বউদিকে চিঠিতে লিখেছিলেন, '...এত আনন্দ কোনও পুজোতে পেয়েছি কি না, জানি না।...কতদিন জেলে কাটাতে হবে, তা জানি না। তবে, বৎসরান্তে যদি মা'র দর্শন পাই, তবে সব দুঃখ সহ্য করতে পারব।'
আসল ঝামেলাটা অবশ্য শুরু হয়েছিল পুজো শেষ হওয়ার পর। যখন জানা গেল, ইংরেজ সরকার সাহায্য বাবদ একটি পয়সাও দেবে না। উলটে জেল সুপারকে ৫০০ টাকা অনুমোদন করার জন্য ওপরমহল তীব্র তিরস্কার করেছিল। এসব দেখে ফের প্রতিবাদ করেন সুভাষচন্দ্র। ১৯২৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, তিনি এক দীর্ঘ প্রতিবাদপত্র বার্মার চিফ সেক্রেটারিকে লেখেন। এর আগও সুভাষ ১৬ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি দুটি চিঠি দিয়ে কোনও সন্তোষজনক উত্তর পাননি।
শেষের চিঠিতে সুভাষচন্দ্র পরিষ্কারভাবে লেখেন যে, আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে সামান্য কয়েকজন ইউরোপীয় অপরাধী বন্দির জন্য সরকার বার্ষিক ১,২০০ টাকা তাদের ধর্মানুষ্ঠানে বরাদ্দ করেছে। অথচ, 'উচ্চশিক্ষিত, সংস্কৃতিবান রাজবন্দিদের ধর্মানুষ্ঠান পালনের জন্য একটা পয়সাও দেওয়া হয় না।' সুভাষচন্দ্রের সেই চিঠিতে কোনওরকম কাজ না হওয়ায় ধর্মীয় উৎসব পালনের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সুভাষচন্দ্র-সহ অন্যান্য রাজবন্দিরা ১৯২৬ সালের ১৮, মতান্তরে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন।
সুভাষচন্দ্রের এই অনশন সারা ভারতে বিরাট অসন্তোষ সৃষ্টি করে। The Calcutta Municipal Gazette-এর ১৯২৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সংখ্যা জানাচ্ছে, কলকাতা কর্পোরেশনের ২৪ ফেব্রুয়ারির অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে বাক্-বিতণ্ডা চলেছিল। মাত্র তিন জন কাউন্সিলর ছাড়া (খুব সম্ভবত তাঁরা ছিলেন ইউরোপিয়ান। তাঁদের মধ্যে দু'জনের নাম ডব্লিউ এইচ ফেলেপ ও ডিসি স্টুয়ার্ট স্মিথ) সবাই মান্দালয়ের জেলবন্দি হিন্দুদের অনশনকে উদ্বেগজনক এবং দুর্গাপুজোয় টাকা না দেওয়ার জন্য সরকারকে তীব্র ধিক্কার জানান। কর্পোরেশনের নেওয়া রেজোলিউশনে বলা হয়, '...callousness of the Government in taking no steps to secure proper treatment and to bring the hunger strike to and end.' এ হালিম এবং গুলাম জিলানি নামে দুই মুসলমান কাউন্সিলর সেদিন উর্দুতে ভাষণ দেন এবং সুভাষচন্দ্র বসুর দাবিকে সমর্থন করেন।
শারীরিকভাবে বরাবরই দুর্বল সুভাষচন্দ্রের স্বাস্থ্য অনশনের ফলে অবনতির দিকে যেতে শুরু করে এবং অবশেষে সরকার প্রতি হিন্দুবন্দির মাথাপিছু বছরে ৩০ টাকা অনুদান মঞ্জুর করে। কলকাতা কর্পোরেশনের তরফ থেকে সুভাষচন্দ্রের স্বাস্থ্য কামনায় কর্পোরেশনের কর্মীরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালে ৯ মার্চ সুভাষচন্দ্র তার উত্তরে জানান, '...Greatful for message Broken fast fourth March. Am well.' সুভাষচন্দ্রের এই বার্তাটি Calcutta Municipal Gazette-এ ১৯২৬ সালের ১৩ মার্চ প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন- বোধন থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি, সন্ধির সময়, পুজোর নির্ঘণ্ট
সুভাষচন্দ্র অবশ্য পরে শরৎচন্দ্র বসুকে লিখেছেন যে, অনশন আরও একটু চালিয়ে গেলে টাকার পরিমাণ বাড়ত তবে, '...প্রকৃত লাভ হল এই যে, নীতির প্রশ্নে গভর্নমেন্ট পরাজয় স্বীকার করেছে।' এভাবেই মান্দালয়ের সেই জেলে ১৯২৬ সালেই এক গর্বিত হিন্দু হিসেবে সুভাষচন্দ্র দুর্গাপুজো ছাড়াও হোলি এবং সরস্বতী পুজোর জন্য বৃটিশ সরকারের সঙ্গে লড়াই করে অনুদান আদায় করেছিলেন।
(তথ্যঋণ:
১) বিতর্কিত দেশনায়াক: সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনীতি: ১৯২১-১৯৪১---- সৌম্য বসু
২) Brothers Against the Raj: Sarat Chandra Bose and Subhash Chandra Bose-- A Biography---Leonard A Gordon
৩) সুভাষচন্দ্রের কারাকাহিনী--- পিনাকি ভাদুড়ি (কোরক পত্রিকা)
৪) The Calcutta Munipal Gazette---Subhash Chandra Bose Birth Centenary Number
৫) Forward: 9th October 1925
৬) Forward: 11th October 1925
৭) নেতাজি ও হিন্দুত্ব
৮) সুভাষচন্দ্রের জীবনে দেবী দুর্গা: সন্দীপ কুমার দাঁ--স্বস্তিকা পূজা সংখ্যা, ১৪১৯
৯) নেতাজির দুর্গাপূজা--- তুলসীপ্রসাদ বাগচি
ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা: সৌভিক বিশ্বাস, সৌম্য বসু)