Unknown Facts of Swami Vivekananda: কালীঘাটে দণ্ডী কেটেছিলেন বিবেকানন্দ
স্বামী বিবেকানন্দ ছোটবেলায় নানা রোগে ভুগতেন। যুবক বয়সেও তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়ার ধাঁচ কমেনি। ছেলের অসুখ দেখে চিন্তিত স্বামীজির মা মানত করেছিলেন মা কালীর কাছে। স্বামীজি সন্ন্যাস গ্রহণের পর বিদেশে গিয়েছিলেন। বিদেশ থেকে ফেরার পর স্বামীজির মা ছেলেকে সব জানান। এরপরই স্বামীজি দণ্ডী কাটার জন্য কালীঘাট মন্দিরকে বেছে নেন। সেখানে পুজো দেন। কারণ, দক্ষিণেশ্বরের মন্দির কর্তৃপক্ষকে কিছু কুচক্রী অভিযোগ করেছিলেন যে স্বামীজি বিদেশে গিয়ে সাহেবদের সঙ্গে মেলামেশা করে অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়েছেন। কালাপানি পার হয়েছেন। তাই বিবেকানন্দ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ায় মন্দিরকে ফের শুদ্ধ করা হয়েছিল। সেসব দেখেই স্বামীজি মানত পূরণের জন্য দণ্ডী কাটার স্থান হিসেবে কালীঘাট মন্দিরকে বেছে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- শ্যামনগর মূলাজোড় ব্রহ্মময়ী মন্দির, পৌষকালীর তীর্থস্থান
স্বামীজিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বিদেশিনি
স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতায় ভারতীয়দের পাশাপাশি বিদেশিরাও মুগ্ধ হয়েছিলেন। তারই মধ্যে এক বিদেশিনি স্বামীজিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্বামীজির এক অনুষ্ঠানে ওই বিদেশিনি পৌঁছে যান। তিনি সরাসরি স্বামীজিকে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পালটা স্বামীজি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন তাঁকেই বিয়ে করতে চাইছেন ওই বিদেশিনি? ওই বিদেশি মহিলা জবাবে জানিয়েছিলেন, স্বামীজিকে দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। তাই চান, তাঁর একটি ছেলে হোক। সেই ছেলেও যেন স্বামীজির মতই হয়। স্বামীজি জবাবে ওই বিদেশিনিকে জানান, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, তিনি একজন সন্ন্যাসী। তিনি ওই বিদেশিনি চাইলে তাঁর মনের ইচ্ছা স্বামীজি পূর্ণ করতে পারবেন। সেটা কীভাবে সম্ভব, জানতে চান ওই বিদেশি মহিলা। জবাবে স্বামীজি জানিয়েছিলেন, তিনি যেন স্বামীজিকে ছেলে বলে মনে করেন। আর, স্বামীজি যেন তাঁকে মা বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন- বিপুল সমালোচনার ঝড়, কোন জাদুকাঠিতে তা সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, আসল সত্যি এটাই?
নিজের মৃত্যুর তারিখ জানতেন স্বামীজি
নিজের মৃত্যুর তারিখ জানতেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি ১৯০২ সালের ৪ জুলাই দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুর একবছর আগেই ঢাকার সভা থেকে স্বামীজি জানিয়েছিলেন, তিনি আর মাত্র একবছর বাঁচবেন। বিবেকানন্দের মৃত্যুর পর ৭ আগস্ট স্বামী সারদানন্দ বিষয়টি প্রকাশ করেন। ঘটনাটি হল, মৃত্যুর মাস দুয়েক আগে স্বামী বিবেকানন্দ কাশী গেছিলেন। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে মঠেই তাঁর চিকিৎসা হয়। পা ফুলে গিয়েছিল। সেটা সেরে উঠলেও স্বামীজি এরপর থেকে বলতে শুরু করেন, 'আমার মৃত্যু এখন শিয়রে।' মৃত্যুর তিন দিন আগে সেবকদের দেখিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দেহ কোথায় সৎকার করতে হবে। ৪ জুলাই, মৃত্যুর রাতে তিনি সন্ধে ৭টা নাগাদ নিজের ঘরে গিয়ে জপ শুরু করেন। ৭টা ৪৫ নাগাদ সেবককে বলেন পা টিপে দিতে। এরপর শিশুর মত কাঁদতে শুরু করেন। রাত ৯টা ০২-এর কিছু পরেই স্বামীজির মৃত্যু হয়। সেসময় তাঁর মাথা থেকে বালিশ সরে গিয়েছিল। মুখে ছিল হাসিভাব।