The Divine Presence at Tamla Smashankali Temple: A Shrine of Faith, Miracles, and Peace: দেবী এখানে অসাধ্য সাধন করেন। এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। এখানে এসে দেবীকে প্রণাম করলে দুরারোগ্য রোগ সেরে যায় ম্যাজিকের মত। সংকটে পূর্ণ হয় মনস্কামনা। এই মন্দিরে যাঁরাই আসেন, দাবি করেন যে মানসিক শান্তি পেয়েছেন। ঠিক এতটাই জাগ্রত এই মন্দিরের বিগ্রহ। এখানকার ভক্তদের মন্দিরটির প্রতি বিশ্বাস আর আস্থা দেখলে চমকে যাবেন বাইরে থেকে আসা যে কেউ। আর, এই মন্দিরের বিগ্রহের অলৌকিক কাহিনি শুনলে মনে হতে বাধ্য, এ-ও সম্ভব?
এই মন্দিরটি রয়েছে দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি এলাকায়। নাম, তামলা শ্মশানকালী মন্দির। জিটি রোডের প্রায় লাগোয়া এই মন্দির। একটা সময় এখানেই ছিল এমন শ্মশান, যেখানে কখনও নাকি চিতা নিভত না। আজ সেসব নেই। তবে, এখানকার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে বিগ্রহ নিজেই এখানে ভক্তদের ডেকে আনেন, স্বপ্নাদেশের মাধ্যমে। আর তাই ডায়মন্ড হারবার থেকে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দা, সকলেই ছুটে আসেন এই মন্দিরে, দেবীর চরণে মাথা ঠেকাতে।
এই মন্দিরটির সেবায়েতের দাবি তিনি দেবীকে দেখেছেন। দেবী প্রত্যেক ভোরে মন্দিরের পাশের পুকুরে স্নান করেন। প্রতি রাতেই নাকি দেবী এই মন্দির ছেড়ে বের হন। মন্দির চত্বরেই এক বেলগাছ আছে। সেখানকার বাঁধানো চাতাল দেবীর অত্যন্ত প্রিয়। এমনটাই জানিয়েছেন এই মন্দিরের সেবায়েত। মন্দিরের আশপাশের বাসিন্দাদেরও দাবি, রাতে তাঁরা দেবীকে দেখতে না পেলেও তাঁর নুপুরের শব্দ শুনেছেন।
সেবায়েত প্রতি অমাবস্যায় ভরে পড়েন। তখন, ভক্তরা তাঁদের সমস্যার কথা সেবায়েতের মধ্যে থাকা দেবীকে জানান। আর, সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় জেনে নেন। এছাড়াও অন্য সময় বিপদে-আপদে পড়া মানুষ সেবায়েতের কাছে ছুটে যান। তিনি তাঁদের বিগ্রহের কাছে গিয়ে প্রার্থনা জানাতে বলেন। তাতে নাকি আর্তদের দ্রুত উপকার হয়। এমনই মহিমা এখানকার বিগ্রহের। শুধু সেবায়েত নন, মন্দিরে নিত্য যাতায়াত করা ভক্তদেরও এমনটাই দাবি।
আরও পড়ুন- সিদ্ধসাধক রাঙাঠাকুর! ভক্তদের কাছে মুশকিল আসান, জীবন্ত কিংবদন্তি
এই মন্দিরের ( Kali Temple) প্রত্যেক বাৎসরিক পুজোয় সামনেই জিটি রোডের ওপর দুর্ঘটনা ছিল আগে নিশ্চিত ঘটনা। এখন আর সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে না। এর পিছনে দেবী আর এই মন্দিরের মহিলা সেবায়েতকেই কৃতিত্ব দেন এখানকার ভক্তরা। তাঁদের দাবি, তামলা শ্মশানকালী মন্দিরের বিগ্রহ আর সেবায়েতের পুজোর (Kali Puja) জেরেই মন্দিরের সামনের জিটি রোডে বাৎসরিক দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কীভাবে যাবেন এই মন্দিরে?
জিটি রোড ধরে যেতে পারেন বেনাচিতির কাছেই এই মন্দির। আবার, দুর্গাপুর (Durgapur) স্টেশনে এসে আসানসোল যাওয়ার বাস ধরে নেমে পড়তে হবে দুর্গাপুর মেন গেটে। সেখান থেকে হেঁটে চলে আসতে পারেন তামলা শ্মশান কালী মন্দিরে।