Ranga Thakur: সিদ্ধসাধক রাঙাঠাকুর! ভক্তদের কাছে মুশকিল আসান, জীবন্ত কিংবদন্তি
Ranga Thakur, born Harinarayan Chakraborty, is a revered tantric sage from Bengal: তাঁর শক্তিসাধনার পথ বৈষ্ণব ধারায় আবদ্ধ, যেখানে নেই পঞ্চ ম-কার, আছে জপ ও ধ্যান।
Ranga Thakur, born Harinarayan Chakraborty, is a revered tantric sage from Bengal: তাঁর শক্তিসাধনার পথ বৈষ্ণব ধারায় আবদ্ধ, যেখানে নেই পঞ্চ ম-কার, আছে জপ ও ধ্যান।
Meet Ranga Thakur: Bengal’s Mystic Who Blends Tantra with Devotion: সিদ্ধপীঠের কথা সবাই জানে। বিপদে, আপদে সবাই বিশ্বাসের টানে এই সব সিদ্ধপীঠেই বারবার ছুটে যান। এই সিদ্ধপীঠগুলোর অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই সেখানকার সাধকরা। যাঁদের মহিমায় সিদ্ধপীঠগুলো ভক্তদের চোখে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বাংলায় এমন সাধকের সংখ্যা নেহাত কম না। তবে, খুব কমজনই এই সব সাধকদের (Hindu) সান্নিধ্যলাভের সুযোগ পান। এই ঈশ্বরিক ক্ষমতাশালী সাধকদের অনেকে ইতিমধ্যে দেহ রেখেছেন। অনেকে স্থান করে নিয়েছেন মনীষীর তালিকায়, বইয়ের পাতায়। অনেকে আবার রয়ে গিয়েছেন শুধু ভক্তদের হৃদয়ে, বাড়িতে বাঁধানো ফটোয়। বহু মানুষ আক্ষেপ করেন, তেমন সাধক এখন আর কোথায়? সত্যি বলতে গেলে, খুঁজলে এমন সাধক আজও পাওয়া যায়। তেমনই একজন হলেন রাঙা ঠাকুর।
Advertisment
গোড়া থেকেই সাধনার পরিবেশ
ভক্তদের চোখে তিনি জীবন্ত কিংবদন্তি। আসল নাম হরিনারায়ণ চক্রবর্তী। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তাঁর নাম হয় মণীষানন্দ গিরি মহারাজ। শংকরাচার্য পঞ্চদশনামী জুনা আখড়ার অবধেশানন্দ মহারাজের তিনি শিষ্য। তবে, গায়ের রঙের জন্য তিনি রাঙা ঠাকুর নামেই বেশি পরিচিত। শ্যামনগরের পশ্চিম মণ্ডলপাড়ার অবন্তীপুরে তাঁর আশ্রম রয়েছে। এই আশ্রমের নাম সিদ্ধাশ্রম। ১৯৮৫ সালে এই আশ্রম তৈরি হয়েছে। রাঙাঠাকুরের পৈতৃক ভিটে কাঁকিনাড়ায়। সেখানে আশ্রমের পরিবেশে তিনি বেড়ে উঠেছেন। ওই বাড়ির ইষ্টদেবী শান্তিময়ী মা। ভৈরব শান্তিনাথ শিব। আর অবন্তীপুরের আশ্রমের অধিষ্ঠাত্রী মনস্কামনা দেবী।
ভক্তদের কাছে তিনি তন্ত্রসাধক হিসেবে পরিচিত। তাঁর কথায়, 'তন্ত্র হল যা ধরে রাখে বা যার ধারণক্ষমতা আছে।' শক্তিকে ধারণ করেন, তাই তিনি তান্ত্রিক বলে পরিচিত। অবশ্য, তাঁর ক্ষেত্রে এব্যাপারেও সূক্ষ্ম বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্য হল, তাঁর মতটা শক্তিসাধনার কিন্তু পথটা গৌরাঙ্গ বা বৈষ্ণব সাধনার (pujo)। যার ফলে, তাঁর তন্ত্র সাধনায় পঞ্চ ম-কারের কোনও সম্পর্ক নেই।
উপচারের বদলে তাঁর সাধনায় স্থান পেয়েছে জপতপ। আর, এরই মাধ্যমে তিনি হৃদয়কে শ্মশান করে তুলেছেন। দেখা পেয়েছেন শ্মশানবাসিনীর। রাঙা ঠাকুর জানিয়েছেন জপ গভীর হলে তবেই ধ্যান আসা সম্ভব। যা সামনে নেই তাঁকে কপালে ভ্রূ'র মধ্যে অনুভব করা সম্ভব। হৃদয়ে অনুভব করা সম্ভব।
তাঁর আশ্রমের ডোবাকে ডাকা হয় সৌভাগ্যকুণ্ড নামে। ভক্ত ও শিষ্যদের কাছে বিপদে-আপদে তিনিই ভরসা। তীব্র সমস্যায়, চঞ্চল মন থেকে বাঁচতে তাঁর এই আশ্রমে বাংলা তো বটেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। ছুটে আসেন ভারতের বাইরে থেকেও।
তন্ত্রসাধক বামাক্ষ্যাপার সহচর নগেন ঠাকুর সম্পর্কে তাঁর দাদু। সেই রাঙাঠাকুরের পরামর্শ নিয়ে, তাঁর কাছে এসে যেন পরম শান্তি পান শিষ্যকুল। এই আধুনিক যুগেও রাঙাঠাকুরকেই তাঁর ভক্ত ও শিষ্যরা প্রাচীন ভারতের সিদ্ধপুরুষদের উত্তরসূরি বলে মনে করেন।