লকডাউনের দিনগুলোতে টেপিডোফোবিয়ায় ভুগছেন না তো?

বাঙালির আবার দিনের নানা সময়ে নানা স্বাদের চা না হলে বুদ্ধিটা ঠিক খোলে না। চা হতে হবে নিখুঁত। আর তা না হলেই মেজাজ যাবে বিগড়ে।

বাঙালির আবার দিনের নানা সময়ে নানা স্বাদের চা না হলে বুদ্ধিটা ঠিক খোলে না। চা হতে হবে নিখুঁত। আর তা না হলেই মেজাজ যাবে বিগড়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আড্ডা, গান, গল্প, সবেতেই ‘চা’ই চাই! সকাল শুরু হতে না হতেই গলাটা একটু ভিজিয়ে নিতে কিংবা কাজের মাঝে একটু চাঙ্গা হতে চায়ের বিকল্প আর কী আছে? চায়ের সঙ্গে বাঙালি তথা ভারতীয়দের রোমান্সটা বোধহয় শাশ্বত। রাজনীতি থেকে রাজকার্য, ফুটবল থেকে ফ্যাশন, সব মহলেই অবাধ বিচরণ তার। যদিও চিনারাই নাকি গোটা দুনিয়াকে এই আজব নেশা ধরিয়েছিল। বাঙালির আবার দিনের নানা সময়ে নানা স্বাদের চা না হলে বুদ্ধিটা ঠিক খোলে না। চা হতে হবে নিখুঁত। আর তা না হলেই মেজাজ যাবে বিগড়ে। 'বাজে' চায়ে চুমুক দিতে হতে পারে, এই চিন্তাটাই আপনার দিন খারাপ করার পক্ষে যথেষ্ট। এবং চা মনমতো হলো না, এই আতঙ্কের পোশাকি নাম 'টেপিডোফোবিয়া'! লকডাউনের দিনগুলোতে একেবারে বাড়ি বন্দি আপনি। আড্ডা নেই, পাড়ার দোকানে তর্ক, পালটা তর্ক নেই, ক্লাব ঘরে ক্যারাম পেটানোও নেই। থাকার মধ্যে তো কেবল রয়ে গিয়েছে ঘন ঘন ওই চায়ে চুমুক দেওয়াটুকুই।

Advertisment

আরও পড়ুন, শুধু ঘুম নয়, মেদ কাড়তেও কফি অব্যর্থ

টেপিডোফোবিক তাঁরাই, যাঁরা চা নিয়ে অতিরিক্ত রকমের খুঁতখুঁতে। অবশ্য হবে নাই বা কেন, চা তো শুধু পানীয় নয়, বাঙালির কাছে চা রীতিমতো একটা আবেগ।

কীভাবে বানাবেন নিখুঁত লিকার চা?

Advertisment

দার্জিলিং/আসাম চা লিকার বানানোর পদ্ধতি বাতলালেন জলপাইগুড়ির বিক্রম টি সংস্থার কর্ণধার সৌরোত্তম বক্সী গুপ্ত।

পদ্ধতি

১৫০ মিলিলিটার জল (একজনের জন্য) ফোটাতে হবে। গ্যাস নিভিয়ে তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এলেই সঙ্গে সঙ্গে সেই জলে চার গ্রাম চা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে চা পাতা সমেত জল। এবার চার মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখে নিতে হবে চা পাতাগুলি পুরোপুরি 'খুলেছে' কিনা। এবার ছাঁকনি নিয়ে ছেঁকে নিয়ে কাপে ঢাললেই... স্বর্গ। মনে রাখতে হবে, দার্জিলিং এবং আসাম চা দুইই কিন্তু দুধ-চিনি ছাড়াই খাওয়া উচিত। স্বাদ সবচেয়ে ভালো পাওয়া যায় তাতেই। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে চা বানালেই টেপিডোফোবিয়া থেকে মুক্তি।

আরও পড়ুন, অ্যাগোরাফোবিয়া কী? আপনিও এই রোগের শিকার নন তো?

এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রকম চায়ের চল রয়েছে। সাধারণত উত্তর ভারতের মানুষ পছন্দ করেন বেশ মশলাদার চা। ঘন দুধ দিয়ে জ্বাল দেওয়া। সঙ্গে লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা থাকলে তো কথাই নেই। এর পেছনে অবশ্য আবহাওয়ার ভূমিকা রয়েছে পুরোদস্তুর। উত্তর ভারতে ঠাণ্ডা বেশি, ঘন দুধ দিয়ে বানানো মশলাদার চা পানেই আরাম বেশি।

তবে লাল চা আর দুধ চা, এই ভাগাভাগি কিন্তু ওল্ড ফ্যাশনড। এখন নানা রকমের চা পানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন দেশবাসী। কাশ্মীরের কাহওয়া বা নুন চা কিংবা পুনের তন্দুরি চা এসে জাঁকিয়ে বসেছে চা-বিলাসীদের ঘরে ঘরে।