Advertisment

যে দেবীর কৃপায় গৃহে অভাব দূর হয়, কৃপালাভের জন্য যা করতে বলেছেন পণ্ডিতরা

দেবীর কৃপায় দুঃখ হয় দূর।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Annapurna

কাশী ও ব্যারাকপুরের অন্নপূর্ণা মন্দির।

অন্নদাত্রী দেবী অন্নপূর্ণা। তিনি দেবী দুর্গার অপর রূপ। দেবী অন্নদা নামেও পরিচিতা। অন্ন শব্দের অর্থ হল ধান। আর পূর্ণার অর্থ হল পূর্ণ। অর্থাৎ, যিনি অন্নদাত্রী। শক্তির অপর রূপ হিসেবে দেবী বিরাজিতা। দ্বিভুজা দেবীর একহাতে অন্নের পাত্র। অন্যহাতে চামচ বা হাতা থাকে। দেবীর সঙ্গেই থাকেন শ্রী। চৈত্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে দেবী অন্নপূর্ণার পূজা করা হয়।

Advertisment

পুরাণমতে, চৈত্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে কাশীতে আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবী। পুরাণে দেবী অন্নপূর্ণাকে নিয়ে নানা কাহিনি রয়েছে। রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র দেবী অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেই অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেছিলেন। মার্কণ্ডেয় পুরাণে, কাশীখণ্ড দেবী ভাগবতে দেবী অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্যের কথা লেখা আছে।

কাশীতে দেবী অন্নপূর্ণার মন্দির বিখ্যাত। বাঙালির কাছে অবশ্য তিনি ঘরের মেয়ে। পশ্চিমবঙ্গে ব্যারাকপুরের টিটাগড় এলাকায় রয়েছে দেবী অন্নপূর্ণার মন্দির। এই মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন রানি রাসমণির ছোট মেয়ে মথুরামোহন বিশ্বাসের স্ত্রী জগদম্বা দেবী। মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১৮৭৫ সালের ১২ এপ্রিল। পাঁচ বছর ধরে এই মন্দিরের নির্মাণকাজ চলেছিল। এই মন্দির দেখতে অবিকল দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের মত।

ব্যারাকপুরের অন্নপূর্ণা মন্দিরে ট্রেন অথবা বাস দুটোতেই যাওয়া যায়। ট্রেনে নামতে হয় ব্যারাকপুর স্টেশনে। এরপর টোটো বা অটো রিজার্ভ করে পৌঁছনো যায় মন্দিরে। অথবা ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে পায়ে পাঁচ মিনিট হেঁটে পৌঁছতে হবে চিড়িয়ামোড়ে। সেখান থেকে অটোয় চেপে ব্যারাকপুর গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের কাছে। সেখান থেকে হেঁটে কিছুটা এলে এই মন্দির। বাসে আসতে হলে শ্যামবাজার থেকে ব্যারাকপুরগামী বাসে চাপতে হবে। সেখান থেকে নামতে হবে তালপুকুর স্টপেজে। সেখান থেকে কাছে এই মন্দির। এখানে নাটমন্দির থেকে দেবীমূর্তির দর্শন করা যায়।

পণ্ডিতরা বলেন, দেবী অন্নপূর্ণা পূজার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়। বাড়িঘর, দুয়ার পরিষ্কার রাখতে হয়। তাঁরা আরও বলেন, বাড়ির সব চাল একটা পাত্রে রাখতে নেই। বড় থেকে ছোট, একাধিক পাত্রে চাল রাখতে হয়। আর ছোট পাত্র থেকেই রান্নার জন্য প্রতিনিয়ত চাল নিতে হয়।

আরও পড়ুন- তারাপীঠের মতই জাগ্রত বুংকেশ্বরীর মন্দির, সাধক শুধু তান্ত্রিকরাই, পূরণ হয় মনস্কামনা

শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন যে, বাড়িতে চাল ফুরিয়ে গেলে বলতে হয় 'চাল বাড়বাড়ন্ত'। বড় পাত্রের চাল শেষ হওয়ার আগেই বাজার বা দোকান থেকে চাল কিনে আনার পরামর্শও দেওয়া আছে শাস্ত্রে। একইসঙ্গে শাস্ত্রে বলা আছে, কখনও চাল কাউকে দান করতে নেই। দরকারে টাকা দিয়ে সাহায্য করতে হয়।

Temple Durgapuja pujo
Advertisment