কিন্তু মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা এমন এক বিষয় যেটি অজান্তেই মানুষকে অসুস্থ করে তোলে। ঠিক ভয় কেমন? হঠাৎ করেই কিছু মানুষ আছেন এমন আচরণ করেন যেটিকে ভয়ের তকমা দেওয়া যায়। আবার অনেক সময় যেকোনও বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভেবে ভেবেই মানুষ নিজেকে ভীত করে তোলেন। সুতরাং ভয়ের অনেকরকম মাত্রা থাকলেও সবকটি একদিকে মানুষকে পরিচালনা করে সেটি হল উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ।
বিশেষজ্ঞ, লিউক কুতিনহ বলছেন ভয় এবং অত্যধিক মাত্রায় স্ট্রেস খুব বেশি কিছু একটা করে না বরং আপনাকেই অসুস্থ করে তোলে। তার সঙ্গেই আনুসঙ্গিক হরমোনাল সমস্যা এবং হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং যদিও বা এগুলি ওষুধ দ্বারা সামলানো যায়, তারপরেও বেশ কিছু বদল কিন্তু আপনাকে রেহাই দিতে পারে এই সমস্যা থেকে। একেবারে নিজেকে ধাক্কা না দিলেও চলবে, বরং ছোট ছোট অভ্যাস থেকেই নিজের সবকিছুতে ভয় পাওয়ার সমস্যা দুর করুন।
আপনার অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যা জড়িত। যেমন, হাই কর্টিসল - ফলেই হার্টের ক্রনিক সমস্যা। দ্বিতীয়, ওজন বৃদ্ধি পায়। বেশিমাত্রায় চিন্তা এবং ভয় থেকেই দুটি আসল রোগ, ব্লাড প্রেসার এবং ব্লাড সুগার খুব স্বাভাবিক বিষয়। হরমোনাল স্বাস্থ্য ওলোট পালোট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভয় এবং চিন্তা দুইই দুর করুন।
ধরুন আপনি কোনও সমস্যায় পড়েছেন, সেই ক্ষেত্রে কিন্তু বেশি চিন্তা করলে আপনার কোনও লাভ হবে না। অতিরিক্ত চিন্তা আর যাই করুক, সমস্যার সমাধান করতে পারে না। একটি বিষয় সবসময় মনে রাখার চেষ্টা করবেন, যে আমরা ভয় তখনই পাই যখন আমরা সবকিছু নিজের মত করে চেষ্টা করি, নিজদের আয়ত্বে চাই তবে সেটি সম্ভব হয় না। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া খুব দরকার। ভুলে গেলে চলবে না মানুষ শুধু পরিস্থিতির শিকার। নিজেকে সেই কঠোর করে তুলতেই হবে।
কীভাবে এর থেকে রেহাই পাবেন? প্রথম হল গিয়ে প্রাণায়াম কিংবা মেডিটেশন যেটি আপনাকে মন থেকে শান্ত করবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা বাধ্যতামূলক। বিশ্বাস থাকলেই সব কিছু সম্ভব! দ্বিতীয়, প্রার্থনা সবথেকে বেশি ভয় কাটাতে সাহায্য করে, তাই এটি ট্রাই করতে পারেন। তৃতীয়, পরিস্থিতির সামনে নিজেকে সারেন্ডার করুন এতে যেমন সুবিধা তেমনই সহজতা। এছাড়াও পজিটিভ মন রাখা বেশ দরকারি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন