Advertisment

'কেউ দিন, কেউ নিন' পোশাক জোগাতে অভিনব উদ্যোগ ত্রিপুরায়

যাঁদের আছে, আর যাঁদের নেই, তাঁদের মধ্যে দূরত্বটা মেটাতে চেয়েই এমন অভিনব উদ্যোগ সৌতম দাস এবং তাঁর ২৭ জন সঙ্গীর। সংগঠনের নাম 'হেল্পিং হ্যান্ডস'।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ত্রিপুরার উদয়পুরে অভিনব উদ্যোগ

 উৎসবে যারা বাদ পড়ছে, উদযাপনে তাদেরও সমান অধিকার, বৈষম্যের পৃথিবীতে হাতে গোনা হলেও কিছু মানুষ এমনটা ভাবেন আজও। সৌতম দাস এবং তাঁর সঙ্গীরা হাতে গোনা সে সব মানুষের কয়েকজন। ত্রিপুরার উদয়পুরে তাঁদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে এক অভিনব অনুষ্ঠান- 'ফ্রি বাজার'। যথেষ্ট পোশাক কেনার সামর্থ্য যাদের রয়েছে, তাঁরা তাঁদের সংগ্রহে থাকা বাড়তি পোশাক দিয়ে দিচ্ছেন অভাবে থাকা মানুষদের।

Advertisment

যাঁদের আছে, আর যাঁদের নেই, তাঁদের মধ্যে দূরত্বটা মেটাতে চেয়েই এমন অভিনব উদ্যোগ সৌতম দাস এবং তাঁর ২৭ জন সঙ্গীর। সংগঠনের নাম 'হেল্পিং হ্যান্ডস'। নিভু নিভু আঁচে বাঁচতে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়ে বছর দুয়েক আগে যাদের পথ চলা শুরু।

আরও পড়ুন, সাইকেলে চেপে বিকল্প দীপাবলি উদযাপন 

publive-image

বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বছর তিরিশের সৌতম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানালেন, "আমরা খুব নতুন সংগঠন। অনেক কিছু করতে চাই আমরা। তবে যেহেতু আমাদের নিজেদের খরচায় কাজ করতে হয়, রাতারাতি বড় কোনও বদল আনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের কয়েকজন সদস্যের মাথায় প্রথম আসে, নিজেদের এমন অনেক পোশাক আছে, যা ব্যবহারযোগ্য, তা আমরা অন্যদের দিয়ে দিতেই পারি"।

অভিনব উদ্যোগের স্লোগান 'কেউ দিন, কেউ নিন'। যে যার মতো পোশাক আশাক দিতে পারবেন। তবে এটি বিনিময়ের মঞ্চ নয়। অভাব অনটনের সঙ্গে লড়তে থাকা মানুষ তাঁদের চাহিদা মতো যা খুশি নিতে পারবে। একদম প্রথমে এমন উদ্যোগ নিয়ে  উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা থাকলেও খুব ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সৌতমের কথায়, "আমরা ৪০০ থেকে ৫০০ টার বেশি পোশাক জমা করতে পারব আশা করেছিলাম, কিন্তু শেষ দু'দিনে প্রায় দেড় হাজার পোশাক সংগ্রহ করেছি। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম দু'দিন ধরেই এটা চালাব, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আরও কয়েকদিন চালাতে হবে"।

Diwali
Advertisment