সুন্দর এবং আকর্ষণীয় শরীরের আকাঙ্খা থাকে সকলেরই। কিন্তু এমন অনেক কম মানুষ আছেন যারা নিজেদের সব কিছু সরিয়ে, খাবারের প্রতি মোহ মায়া ত্যাগ করেই এই কার্যে লিপ্ত হতে পারেন। একেবারেই সহজ কাজ নয়। দরকার প্রচন্ড নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্যমতা। কিন্তু প্রত্যেকের শরীরচর্চার নেপথ্যে কিন্তু রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ যেগুলি বর্তমান সময়ে এসে পরিবর্তিত হতে বাধ্য।
বিশেষজ্ঞ টিম গ্রের এই বিষয়ে বক্তব্য, নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করুন যে আদতেই ঠিক কী কারণে শরীরচর্চার দিকে পা বাড়িয়েছিলেন? নিজের ইচ্ছে নাকি শরীরের প্রয়োজন নাকি কারওর কথায় মোটিভেট হয়ে। এমন অনেকেই আছেন যাদের প্রথমদিকে হয়তো বা শরীরচর্চায় একেবারেই আগ্রহ ছিল না কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে তাদের ভাবমূর্তি একেবারেই বদলে গেছে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে বেশিরভাগ মানুষ প্রথমদিকে ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা অথবা তথাকথিত ভাষায় জিমের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন হাতে গোনা কয়েকটা কারণে।
প্রথম, নিজেকে অত্যন্ত মাস্কিউলার দেখতে। নয়তো কেউ আপনাকে স্থূলকায় বলার পর আপনার মন খারাপ হয়েছে নয়তো বা আপনার অহংকারে আঘাত লেগেছে অথবা এমন কাউকে আপনি নিজের দৈহিক ভঙ্গি দ্বারা প্রভাবিত করতে চান। এর থেকে বেশি আর সেরকমভাবে কিছুই হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিজের সঙ্গে একরকম যুদ্ধ করার পর আপনার ভাবভঙ্গি অনেকটাই বদলানো উচিত।
টিম বলেন, যতই হোক না কেন একটা সময়ের পর কিন্তু নিজেকে এর মধ্যে সম্পূর্ণ মানিয়ে নিতে হয় নইলে কোনওরকম কাজে আসবে না এত পরিশ্রম। প্রথম দিকে যদিও বা একটু কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক তবে পরবর্তীতে কিন্তু সেরকম অসুবিধে হয় না। এবং বেশিরভাগ জায়গার গবেষণা বলছে পরবর্তীতে সকলের উদ্দেশ্য একেবারেই অন্যদিকে মোড় নিতে থাকে। অর্থাৎ,
শরীরচর্চার ফলে শরীর ভীষণ সতেজ থাকতে শুরু করে। একেবারেই চাঙ্গা থাকে। হাত পায়ে আরষ্ঠ ভাব থাকে না। নতুন অনেক কাজে সময় দেওয়া যায়, ক্লান্তিও লাগে না।
দ্বিতীয়, শরীর সবদিক থেকে উন্নত হতে থাকে। ব্যথা বেদনা কমে যায়। শরীরের পেশীগুলো আগের থেকে বেশি সঞ্চালিত হয় বলেই অনেক সমস্যা দুর হয়।
সারাদিনের শেষে ঘুম ভাল আসে। অনেকেই যারা সারারাত জেগে থাকার সমস্যায় ভুগতেন তারাও কিন্তু রেহাই পেয়েছেন।
এনার্জি ক্রমশই বাড়তে থাকে। এবং তার সঙ্গেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ক্ষমতা জন্মায় আপনার শরীরে। ক্লান্তি ভাব কমে যায়।
শরীর থেকে অতিরিক্ত এন্ড্রফিন বেড়িয়ে যায়। ফলেই স্ট্রেস এবং মানসিক চাপ, অশান্তির পরিমাণ কমে যায়। আপনি ভেতর থেকে ভাল থাকতে শুরু করেন।
সবথেকে শেষে হল, এটি বেশ মজার একটি বিষয়। সারাদিনে একটু শরীরচর্চা হল, সহযোগীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হল, আবার অনেকেই জিম করাকালীন নানা বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া হল, তাই তুলনামূলকভাবে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সঙ্গেই মজাদার বটে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন