মানুষের হাজারো ভাল অভ্যাসের মধ্যে একটি খারাপ অভ্যাস হল ধূমপান। বলা উচিত অল্প বয়স থেকেই এই ধরনের বদ অভ্যাসের দিকে মানুষের ঝোঁক বাড়তে থাকে। ধূমপানের মাত্রা কিন্তু কমানো খুব মুশকিল। এবং দিনের পর দিন এটি বাড়তেই থাকে। এর থেকে রেহাই পাওয়া এত সহজ নয়।
Advertisment
আজ অনেক জায়গাতেই গোপনে ধূমপান ছাড়ান এমন বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়। কিন্তু আদৌ কী ওষুধ কিংবা প্রপার ট্রিটমেন্ট দিয়ে এর মাত্রা কম করা যায়? অনেকেই বলে থাকেন এই ধরনের ধূমপান অথবা শরীরের অভ্যাস মানুষ নিজের চেষ্টায় ছাড়তে পারেন। যদিও বা আয়ুর্বেদিক বেশ কিছু ওষধি কিন্তু অবশ্যই এক্ষেত্রে ভাল প্রমাণিত হতে পারে। গতকাল ছিল 'World no tobacco day' ; ঠিক কোন কোন পাতা কিংবা খাদ্য উপাদেয়র কারণে এর থেকে রেহাই পাবেন জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই একটি বিষয়, অর্থাৎ তামাক এটি কিন্তু শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি করতে পারে। যার মধ্যে দেখা যায়, স্ট্রোক, হাই ব্লাড প্রেসার ছাড়াও নানা ধরনের অসুবিধা লক্ষ্যনীয়। ধূমপান চরমে পৌঁছে গেলে সহজে অনেক ওষুধ কাজ করে না। সহজে ঘুম আসে না এমনকি খিদের মাত্রাও কমে যেতে থাকে।
একটি স্পেশ্যাল চা - যেমন অশ্বগন্ধা কিংবা শতাভরি কেশর দিয়ে বানিয়ে সেটিকে পান করতে হবে। এটি আসলেই সব ধরনের বদ অভ্যাস দুর করতে হবে। এরসঙ্গে প্রয়োজন যোগাসন। কারণ যোগার মাধ্যমেই মানসিক চাপ এবং রক্তের নানা সমস্যা দুর হয়।
চিবিয়ে খেতে হবে আদা। আদা কিন্তু সালফার যুক্ত এর মধ্যে অনেক ভাল উপাদেয় থাকে। এটি চিবিয়ে খেলে অ্যাডিকশন কমে। লেবুর রসে আদার ছোট পিস ডুবিয়ে রেখে পড়ে সেটিতে গোলমরিচ এবং হালকা বিটনুন মিশিয়ে খেতে হবে। এতে শরীরের হাল ভাল থাকে এবং ধূমপানের মাত্রা অনেক কমে।
জাতাশমি, ব্রাহ্মী এবং চামোমাইল সবকিছুকে একসঙ্গে গুড়ো করে নিন। এবং এটিকে, অল্প গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে সেটিকে দুদিন অন্তর পান করতে হবে। এটি কিন্তু ধূমপান কমাতে ধন্নন্তরি।
এছাড়াও, গিনসেয়াং দেখতে কিছুটা আদার মত। তবে অনেকটা শরীরের পক্ষে ভাল। এটি চিবিয়ে খেলে কিন্তু দারুণ উপকার পাওয়া যেতে পারে। এর থেকে মুড সুইং কিংবা ধূমপানের অভ্যাস অনেকটা কমে।