বিগত দিন পনেরোয় যাবতীয় হাইজিন আপনি মেনে নিয়েছেন, শিখে নিয়েছেন। জেনে নিয়েছেন কীভাবে, কতক্ষণ ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হয়, বাজার থেকে কিনে আনা সবজি কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়, সব শিখে গিয়েছেন আপনি। কিন্তু নিজের তোয়ালেটা নিয়ে কতোটা সচেতন আপনি? আপনি নিশ্চিত আপনার তোয়ালে জীবানু মুক্ত?
তোয়ালে কিন্তু অধিকাংশ সময়ে ভেজা থাকে, ফলে ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড় ঘর হতে বেশি সময় লাগে না। যতোবার আপনি হাত মুখ তোয়ালে দিয়ে মোছেন, ততোবার আপনার মুখ থেকে জীবাণু চলে যায় তোয়ালেতে, গবেষকদের মত তেমনটাই। তারপর আমরা কী করি? বেশিরভাগ সময়ে আমরা তোয়ালে রেখে দিই অন্ধকার স্নানঘরে, যেখানে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের থাকার আদর্শ জায়গা।
আরও পড়ুন, স্যানিটাইজার ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে যা কিছু জেনে রাখা খুব দরকার
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট চার্লস গার্বা একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন ৯০ শতাংশ বাথরুম টাওয়েলে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া থাকে, এদের মধ্যে ১৪ শতাংশ তোয়ালেতে ই কোলাই থাকে, নিজেদের অজান্তেই আমরা সে সব ব্যভহার করে ফেলি। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন ঘন ঘন তোয়ালে পরিষ্কার করা দরকার।
জেনে নিন কী কী হাইজিন মেনে চলা খুব দরকার
মাঝে মাঝেই তোয়ালে ধুয়ে ফেলুন
তিন থেকে ৫ বার ব্যবহারের পর আপনার তোয়ালে ধুয়ে ফেলুন। সাধারণ ডিটারজেন্টে ব্যাকটেরিয়া মরে না, তাই সবচেয়ে ভালো গরম জলে অক্সিজেন ব্লিচ রয়েছে, এমন ডিটারজেন্ট দিয়েই তোয়ালে ধুয়ে ফেলুন।
ভেজা অবস্থায় তোয়ালে ফেলে রাখবেন না
স্নানের পর ভেজা টাওয়েল বাথরুমে রেখে দেবেন না। হয় ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে ফেলুন, অথবা রোদ, হাওয়া আসে, এমন খোলা জায়গায় তোয়ালে মেলে রাখুন।
ভিনিগার মেশানো জলে তোয়ালে কাচুন
এক কাপ ভিনিগার মেশানো জলে ডিটারজেন্ট দিয়ে ডুবিয়ে কাচুন। এতে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া চলে যাবে।
এক তোয়ালে খুব বেশি দিন ব্যবহার করবেন না
সস্তার তোয়ালে সাধারণত খুব বেশি দিন টেকে না। গরম জলে বেশিক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে ফাইবার খুব তাড়াতাড়ি নষ্টও হয়ে যায়। তাই খুব বেশিদিন এক তোয়ালে ব্যবহার না করাই ভালো।
নিজের তোয়ালে যেন আলাদা হয়
অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী একই তোয়ালে ব্যবহার করে থাকেন। এতে কিন্তু সংক্রামক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের আলাদা তোয়ালে থাকাই বাঞ্ছনীয়।