আড্ডা, গান, গল্প, সবেতেই ‘চা’ই চাই! সকাল শুরু হতে না হতেই গলাটা একটু ভিজিয়ে নিতে কিমবা কাজের মাঝে একটু চাঙ্গা হতে চা-এর বিকল্প আর কী আছে? চা-এর সঙ্গে বাঙালি তথা ভারতীয়দের রোমান্সটা বোধয় শাশ্বত। রাজনীতি থেকে রাজকার্জ, কিমবা ফুটবল থেকে ফ্যাশন, সব মহলেই অবাধ বিচরণ তার। তার জন্য রীতিমতো রাখা হয়েছে গোটা একটা দিন। হ্যাঁ, আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস। সেই উপলক্ষেই একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, হরেক রকম চা নামচায়।
সাধারণত উত্তর ভারতের মানুষ পছন্দ করে বেশ মশলাদার চা। ঘন দুধ দিয়ে জ্বাল দেওয়া। সঙ্গে লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা থাকলে তো কথাই নেই। এর পেছনে অবশ্য আবহাওয়ার ভূমিকা রয়েছে দস্তুর। উত্তর ভারতে ঠাণ্ডা বেশি, ঘন দুধ দিয়ে বানানো মশলাদার চা পানেই আরাম বেশি।
আরও পড়ুন, চায় পে চর্চা, চায় পে রূপচর্চাও
তবে লাল চা আর দুধ চা, এই ভাগাভাগি কিন্তু ওল্ড ফ্যাশনড। এখন নানা রকমের চা পানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে দেশবাসী। কাশ্মীরের কাহয়া নুন চা কিমবা পুনের তন্দুরি চা এসে জাঁকিয়ে বসেছে চা-বিলাসীদের ঘরে ঘরে।
আরও পড়ুন,
রাজধানীতে এখন নানা প্রদেশের চায়ের সমাবেশ হয়েছে। দিল্লির মুখার্জি নগরের আলফা'জ -এর তন্দুরি চা মিস করে গেছেন আপনি? পরের বার দিল্লি গিয়ে তন্দুরি চা-এর স্বাদ নিতে ভুলবেন না যেন।
গোলাপি নুন চা দিয়ে গলা ভেজাতে চান? পুরনো দিল্লির জাম্মা মসজিদের কাছাকাছি খুব জনপ্রিয় এই চা। স্বাদে নোনতা, রঙখানা বাহারি। গলার সঙ্গে মনও ভিজবে ভরপুর।
মোঘলাই ঘরানার খাওয়া দাওয়া বললে তালিকায় প্রথম আসবে বিরিয়ানি-কাবাব। গরম ধোঁয়া ওঠা এই পানীয় নিয়ে মোটে ভাবনা চিন্তা করেছিলেন কিনা নবাব-বেগমরা, তার কোনও প্রমাণ নেই বটে, তবে সেই আরেকবার ফিরে যেতে হয় জাম্মা মসজিদ এলাকাতেই। ৫০ বছর ধরে সেখানে মোঘলাই চা জনপ্রিয় করে তুলছে আলমের চা।
তরুণ প্রজন্মের বদলে যাওয়া ভাষায় এখন নানা ভাবে ঠাই পেয়েছে 'মাখন' শব্দটি। শীতের সন্ধেয় ধোঁয়া ওঠা চা-এ চুমুক দিয়ে , সেই অনুভূতি বোঝাতে আপনি বলে উঠতেই পারেন 'মাখন'। কিন্তু মাখন চা নিশ্চয়ই চেখে দেখেননি এখনও। এর জন্ম সুদূর তিব্বতে। অতিশ দীপঙ্কর এ দেশ থেকে গিয়েছিলেন তিব্বতে, আর সে দেশ থেকে এ দেশে পাড়ি দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে মাখন চা।
Read the full story in English