বাড়িতে ছোট সদস্যটি টিকা নিতে খুব ভয় পায়? বাচ্চাদের ইনজেকশনের নামে কান্নাকাটি করা খুব সাধারণ ব্যাপার। প্রথমেই যেটি ওদের মাথায় আসে যে এর থেকে ব্যথা লাগবে এবং সেটি একটু হলেও সঠিক ভাবনা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আপনার শিশুটিকে সুস্থ রাখা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেই ভিত্তিতেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে।
যেহেতু ধীরে ধীরে ওমিক্রন চোখ রাঙাচ্ছে এবং ছোটদের স্কুল খোলা নিয়েও বেশ দোলাচল দেখা যাচ্ছে সুতরাং ভ্যাকসিনের বিষয়ে দেরি করলে চলবে না। প্রথমে যদিও বা ১৫ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রেই ধার্য করা হয়েছে ভ্যাকসিন কিন্তু আশা করা যাচ্ছে ছোটদের ক্ষেত্রেও খুব বেশি দেরি করা হবে না। যেহেতু অল্প বিস্তর বয়স্ক অনেকেই ভ্যাকসিনের পার্শপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেছেন তাই ছোটদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম এবং টিপস মেনে চলাই সবথেকে ভাল।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকেই শুরু হবে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া। সুতরাং তার আগে বাচ্চাদের নিয়ে একটু হোম ওয়ার্ক করে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন :
যদি আপনার শিশু অ্যালার্জি কিংবা শারীরিক অন্যান্য সমস্যার কারণে ভুগতে থাকে তবে স্লট বুক করার আগে, আপনার শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন। উনার সঙ্গে আলোচনা না করে কিছুই করবেন না।
যেদিন টিকাকরণের তারিখ দেওয়া হবে আগেভাগেই জ্বর জ্বালা কমাতে অথবা শরীরে যাতে ব্যাথা না হয় সেইদিক বিবেচনা করে কোনওরকম ওষুধ পত্র একেবারেই খাওয়াবেন না। এবং পরবর্তীতে নন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিলেও দিতে পারেন তবে অতিরিক্ত প্রদাহ সৃষ্টি করবে এমন কিছু দেবেন না।
বাচ্চাদের ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় না দেখানোই ভাল কিংবা ওদের সামনে এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। ওদের মন থেকে শক্ত রাখুন।
রাত্রিবেলা ভাল করে ঘুমানো, অল্প বিস্তর হাঁটাচলা করা এবং আগের দিন রাতে সঠিক মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন ছাড়াও পরের দিন সকালবেলা চেষ্টা করবেন ভাল মত খাওয়াদাওয়া করেই যেন ওরা ভ্যাকসিন নিতে যায়। এতে ইমিউনিটি বাড়ে এবং তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন কাজ করলে অ্যান্টিবডি সঠিক মাত্রায় তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন < সাবধান, ওমিক্রন নষ্ট করে দিতে পারে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা >
যদি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে পার্শপ্রতিক্রিয়া যেমন জ্বর, হালকা গা হাত পা ব্যথা হয় তবে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। এটি খুব সাধারণ বিষয় - মনে রাখবেন এইগুলি দেখা দেওয়ার অর্থই সেটি ওদের শরীরে সঠিকভাবে কাজ করবে। তবে হাতে অতিরিক্ত ব্যথা হলেও বরফ সেঁক দিন তবে গরম সেঁক একেবারেই দেবেন না। পেইনকিলার দেওয়ার আগেও ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
যদি এমন লক্ষ্য করেন যে ভ্যাকসিনের দু তিনদিন পরেও আপনার শিশুটির অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা কমছে না কিংবা জ্বর আয়ত্বে আসছে না তবে অবশ্যই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গরম খাবার বিশেষ করে হট চকলেট কিংবা চিকেনের কোনও রেসিপি বানিয়ে ওদের খেতে দিন। আর যদি এমন বিষয় থাকে যে নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ সেবন করে আপনার বাচ্চা, তবে সেটি ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে খাবে না পরে সেটিও একটু জেনে নেবেন।
বাকি আর সেরকমভাবে কোনও সমস্যা নেই, টিকাকরণ আপনার বাচ্চাকে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন