বাঙালির কাছে শারদোৎসবের শুরুটা করে দিয়ে যায় বিশ্বকর্মা পুজোই। হিন্দু পুরাণ মতে সমস্ত দেব দেবীর প্রাসাদ, তাঁদের অস্ত্র শস্ত্র, যানবাহন তৈরি করেছেন ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মাই। ঋকবেদ এবং স্থাপত্য বেদ অনুযায়ী, পৃথিবী তৈরিতে বিশ্বকর্মার গুরুত্বপূর্ণ অসীম। হিন্দু শাস্ত্রমতে, বিশ্বকর্মা হলেন দেবতাদের শিল্পী। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি বা শেষ দিনে হয় তাঁর পুজো। এবছর ১৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার হবে পুজো।
Advertisment
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর হয় বিশ্বকর্মা পূজা। এ বছর বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর। ভাদ্র মাসের শেষ দিনে কন্যা সংক্রান্তিতে (ওড়িশা, বাংলা, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড অঞ্চলে এই নামেই পরিচিত) বিশ্বকর্মা পুজো হয়। বিশুদ্ধসিদ্ধান্তের নিয়ম মেনে বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি হিসেব করা হয়। এবছর বিশ্বকর্মা পুজোর সিদ্ধিযোগ প্রাত শুরু হবে ৬টা ৭ মিনিটে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা পুজোর মাহেন্দ্র যোগ শুরু রাত ১০টা ২০ মিনিটে। শেষ হচ্ছে ১১টা ৭ মিনিটে। উত্তরের কিছু রাজ্য এবং বিশেষ করে বিহারে দীপাবলির পর মাঘ মাসে বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। দক্ষিণের কিছু কিছু রাজ্যে, যেমন কেরালায় ঋষি পঞ্চমীতে বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়।
মূলত শ্রমিক শ্রেণি, মেকানিক, কাঠের কাজ করেন যারা, অর্থাৎ যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাঁরা এই পুজো করে থাকেন। সরস্বতী পুজোর দিন যেমন পড়ুয়ারা বই-খাতা, পেন-সহ পড়াশোনার যাবতীয় সরঞ্জাম দেবীর কাছে সমর্পণ করে দেয়, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনও সেরকম ভক্তরা যন্ত্রপাতি সব দেবতার কাছেই সপে দেন এই একটা দিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন