আয়ুর্বেদের নানান অংশে ভিন্ন ধরনের ওষধি থেকে যোগাসন এবং নানান দিব্য বস্তুর ব্যবহারে শরীরকে সুস্থ রাখার উপায় সম্বন্ধে বর্ণিত রয়েছে। এর কাছে সবকিছুর সমাধান পর্যন্ত আছে। ওষুধ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে যে নিজেকে সুন্দর, স্বাস্থ্যবান এবং সুখী রাখা যায় এটিই তার প্রমাণ। সেরকমই তামার পাত্রে জল খাওয়ার প্রসঙ্গে অনেকেই জানেন। বহুযুগ ধরে অনেক মানুষ খেয়েও আসছেন। কিন্তু আসল কারণ জানলে অবাক হবেন।
পুষ্টিবিদ নিতিকা কোহলি এর সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বলেন, তামার পাত্রে রাখা জলকে তম্র জল বলেই আয়ুর্বেদে অভিহিত করা হয়। মূলত আগের দিন রাতেই এটিকে তামার পাত্রে ঢেলে রাখা হয়। এটি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি সেই কারণেই এটি স্বাস্থের অনেক উপকারে লাগে।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন এই জল তামার পাত্রে জমাও রাখা যায় তারপরেও এটি নষ্ট হয় না। এছাড়াও মানবদেহের তিনটি দশা অর্থাৎ ভাতা, কাপ্পা, এবং পিত্ত এই তিনটিকে প্রসিদ্ধ করতে এই জল নিদারুণ কাজ দেয়। কিন্তু আরও কী কী ভাবে এটি শরীরের উপকার করে সেই সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা মিলেছে।
ওজন কমাতে চান তো তামার পত্রের জল একেবারেই খাওয়া অভ্যাস করুন। এবং সেই থেকেই আপনার শরীরের অপ্রয়োজনীয় অংশ তম্র জল একেবারেই দুর করতে সক্ষম। সঙ্গে অবশ্যই, সেটিই শরীরে রেখে দেয় যেটি একটু বেশি কার্যকরী।
কোথাও ব্যথা পেয়েছেন অথবা কেটে গেছে! তাহলে এই জলের থেকে ভাল উপায় আর কিছুই নেই। এই জল যেহেতু অ্যান্টি ব্যাকেরিয়াল তাই সহজেই ক্ষত থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুন < চুল পড়ে যাচ্ছে? এই টিপসগুলো মাথায় রাখলে পুরুষদের আর চিন্তা নেই! >
তামার পাত্রে রাখা জল রক্ত সঞ্চালন সঠিক করতে সক্ষম। এবং সেই কারণেই হৃদরোগ জনিত সমস্যা থেকে এটি রেহাই দিতে পারে। হাইপারটেনশন দুর করে, পালস রেট ভাল রাখে ফলে হার্টের সমস্যা একেবারেই হয় না।
পাচনতন্ত্রের সহায়ক এই তম্রজল। প্রতিদিন সকালে এই জল খেলে সারাদিনে গ্যাস অম্বল জাতীয় সমস্যা একেবারেই দেখা দেয় না। তাড়াতাড়ি হজম হয়। পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। পেটে জ্বলুনি একেবারেই হয় না।
পেশীর ব্যথা কষ্ট দিচ্ছে! তামার জল আপনাকে উপকার দেবে। এটি শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহকে দুর করে এবং সহজেই জয়েনট কিংবা মাসেল পেইন থেকে আরাম দিতে পারে।
প্রতিদিন শোয়ার আগে তামার পাত্রে জল ঢেলে রাখুন পরের দিন সকালে উঠে পান করবেন। ট্রাই করেই দেখুন। কাজে দেবে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন