Monitoring blood sugar: ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করা। বর্তমান সময়ে রক্তে শর্করা বেশি থাকার রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অতীতের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তবে, একটু সচেতন থাকলে কিন্তু, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেজন্য বেশ কিছু বিষয় জানা দরকার।
খাওয়ার আগে ও পরে রক্তে শর্করার মাত্রা কত হওয়া উচিত? জেনে নিন সুগার নিয়ন্ত্রণের সঠিক নিয়ম
রক্তে শর্করার (blood test) পরিমাণ আমাদের শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য এবং বিশেষ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা জেনে রাখা খুব জরুরি। কারণ এই তথ্যই নির্দেশ করে, আপনার শরীর কীভাবে খাবারের পর ইনসুলিন নিঃসরণ করছে এবং গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করছে।
খাওয়ার আগে রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা:
একজন সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে খালি পেটে (fasting) রক্তে শর্করার পরিমাণ হওয়া উচিত:
ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে:
খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা:
খাবার খাওয়ার পরে, অর্থাৎ পোস্টপ্রান্ডিয়াল অবস্থায়, রক্তে শর্করার মাত্রা হওয়া উচিত:
কেন রক্তে শর্করার এই রেঞ্জ জানা জরুরি?
খাবারের পর গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক, তবে যদি এই মাত্রা অতিরিক্ত হয়, তাহলে তা ইঙ্গিত দিতে পারে ইনসুলিনের অকার্যকারিতা বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স-এর ব্যাপারে। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস-এ রূপ নিতে পারে।
কোন লক্ষণগুলো রক্তে অতিরিক্ত শর্করার ইঙ্গিত দেয়?
-
অতিরিক্ত পিপাসা
-
ঘন ঘন প্রস্রাব
-
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
-
ক্লান্তি
-
চোখ ঝাপসা দেখা
এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করানো উচিত।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কী করবেন?
-
নিয়মিত খাবার খান: ফাইবারযুক্ত খাবার, কম কার্বোহাইড্রেট এবং লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাদ্য বেছে নিন।
-
পর্যাপ্ত জল পান করুন – শরীর হাইড্রেট থাকলে গ্লুকোজ মেটাবলিজম ভালো হয়।
-
ব্যায়াম করুন – হাঁটা, সাইকেল চালানো, যোগাসন বা হালকা কার্ডিও ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।
-
চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন – মিষ্টি পানীয় বা ফাস্ট ফুড রক্তে গ্লুকোজ হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন- হাড় মজবুত রাখে, সুস্থ রাখে হৃদয়ও! জেনে নিন ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ সেরা ৭টি ফল কোনগুলো
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি:
যদি নিয়ম মেনে চলার পরেও রক্তে শর্করার (blood glucose) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে এন্ডোক্রিনোলজিস্ট বা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাঁরা উপযুক্ত ওষুধ এবং খাদ্য তালিকা দিয়ে সাহায্য (treatment) করতে পারবেন। এই তথ্যগুলো অনুসরণ করলে আপনি রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই বুঝতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। সুস্থ থাকতে চাইলে ব্লাড সুগার রেগুলার চেক করুন এবং জীবনশৈলীতে সচেতন পরিবর্তন আনুন।