বঙ্গে বর্ষা এসেছে অনেক দেরিতে। বৃষ্টিতে রয়ে গিয়েছে অনেক ঘাটতিও। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেই বেড়েছে বজ্রপাতের দাপট। শুক্রবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রপাত হয়েছে। কলকাতা শহরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের, আহত অনেকেই। আগামী কয়েকদিন শহরে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে বজ্রপাতের আতঙ্ক। বাজ পড়লে কী করবেন, জানেন না অনেকেই, সেই সম্পর্কেই জানানোর একটু চেষ্টা করা হল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে।
বাজ পড়লে খুব হাই ভোল্টেজ যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তার ফলে আমাদের শরীর তড়িতান্বিত হয়ে যায়। আসলে ছোটখাটো শক লাগলেও একই ঘটনা হয়, কিন্তু বাজ পড়ার সময় খুব হাই ভোল্টেজ তড়িৎ থাকে, ফলে মানব শরীর তা সহ্য করতে পারে না। উঁচু গাছপালা থাকলে গাছ কারেন্ট নিজের দিকে টেনে নেয়, ফলে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি আসতে পারে না বাজ। কিন্তু ফাঁকা জায়গায় বাজ পড়লেই বিপদ সবচেয়ে বেশি।
কেমন কাটবে অবসর কাল? সঞ্চয় ছাড়াও নির্ভর করে এই বিষয়ের ওপর
বাজ পড়ার সময় কী কী করবেন এবং করবেন না
বাড়ির বাইরে থাকবেন না, উঁচু জায়গা বা বাড়ির ছাদে থাকবেন না। পুকুর, হ্রদ, দীঘি, জলাশয়ের কাছে থাকবেন না।
বাড়ির ভেতরে থাকলেও বাজ পড়ার সময় ঘরের জানলা দরজা বন্ধ রাখুন। কংক্রিটের মেঝেতে শোবেন না, কংক্রিটের দেওয়ালে হেলান দেবেন না।
বজ্রপাতের সময় জল ঘাঁটবেন না, স্নান করতে যাবেন না এই সময়ে।
বাইরে থাকলে বজ্রপাতের সময় একটা নিরাপদ আশ্রয়ে ঢোকার চেষ্টা করুন। দোকান বা বাড়ি হলে ভালো হয়। ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নেবেন না।
বজ্রপাতের সময় গাড়িতে থাকলে জানলার কাচ তুলে দেওয়া দরকার।
বাজ পড়ার সময় ফাঁকা মাঠে থাকলে নিজেকে গুটিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। গাছের তলায় দাঁড়াবেন না কখনওই। সমতলে শুয়ে থাকবেন না।
বৈদ্যুতিক সমস্ত কানেকশন বন্ধ করে রাখবেন। কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করবেন না। ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলুন। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।