আধুনিক জীবনে গতি বেড়েছে, সময় কমেছে। এখন দু'বেলা বাড়িতে খাবার তৈরির সময় কোথায়? তাছাড়া অনলাইনে খাবারের অর্ডার দেওয়ার এত অপশন হয়ে গিয়েছে, যে কাজ সেরে দিনের শেষে বাড়ি ফিরে রান্না করার ইচ্ছেটুকুও হয় না। অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ এ আজকাল দাবি করা হচ্ছে 'স্বাস্থ্যকর খাবার' দেওয়া হবে, কিন্তু তা সত্তেও বাড়ির খাবারের বিকল্প কখনওই হতে পারে না এই খাবার।
এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মধ্যে স্থূলতা বা ওবেসিটি একটা খুব চেনা সমস্যা। ওবেসিটির কারণে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে আকছার। টাইপ টু দায়াবেটিস মেলিটাস, হাইপার টেনশন এবং ডিসলিপিডেমিয়া, স্লিপ অ্যাপনিয়া, পিসিওডি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
জাঙ্ক ফুড, হোটেল, রেস্তোরাঁর খাবার যে দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়, সে বিষয়ে সন্দেহই নেই। তার ওপর শুয়ে বসে কাটানো লাইফস্টাইল এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে বাড়ির খাবার কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। প্যাকেজড ফুডে যে পিএফএএস থাকে, তাতে নানা রকমের রাসায়নিক থাকে, যা দেহের কোলেস্টরল লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
এই প্রসঙ্গে আনন্দপুর ফরটিস হাসপাতালের নিউট্রিশনিস্ট মিতা শুক্লা জানালেন, "বাড়িতে আমরা কী দিয়ে খাবারটা বানাচ্ছি, সেটা জানতে পারছি। বাইরের খাবারের ক্ষেত্রে সেটা জানা যায় না। বাইরের খাবার দেখে জিভে জল আসতেই পারে। কিন্তু এ সব খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকে। বাড়ির খাবার অঢেল তৈরি হয় না, তাই পরিমাণটাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাইরের খাবার যত খুশি ইচ্ছে খাওয়া যায়"।
এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভস জার্নালে প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা বাইরে বেশি খান, তাঁদের রক্তে পিএফএএস পাওয়া গিয়েছে।