প্রেম ভেঙে গেলে শুধু বন্ধু হয়ে থাকতে পারে প্রাক্তন প্রেমিক প্রেমিকা? অধিকাংশ পুরুষ বলবেন 'হ্যাঁ'। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে প্রাক্তনদের নিয়ে সহজ হতে পারেন না অধিকাংশ মহিলাই। 'সোশাল সাইকোলজিকাল অ্যান্ড পার্সোনালিটি সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা সেরকমটাই বলছে।
গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৯০০ জন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রত্যেকেই অন্তত মাস চারেক ধরে বিপরীত লিঙ্গের কারোর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। গবেষণা বলছে এদের মধ্যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের তাঁদের প্রাক্তনকে নিয়ে ইতিবাচক অনুভূতি রয়েছে।
আরও পড়ুন, পরীক্ষায় পাস করলে তবেই বিয়ে! ২০২০ থেকে সরকারের নতুন নিয়ম
এই প্রসঙ্গে গবেষকরা বলেছেন সম্পর্কের ব্যাপারে মহিলারা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত। অন্যদিকে পুরুষরা সম্পর্কে তুলনামূলক হাল্কা ভাবে নেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌনতায় তাঁদের কাছে প্রাধান্য পায়।
সম্পর্ক যখন আর কাজ করে না, মহিলারা ভাবতে থাকেন সময় নষ্ট হয়েছে। পুরুষদের ভাবনায় সেরকম তিক্ততা থাকে না। তাঁরা বরং প্রাক্তনের সঙ্গে কাটানো সময়ের অভিজ্ঞতাকেও মনে রাখে যৌনতা দিয়েই।
আরও পড়ুন, স্ত্রীয়ের আয় বেশি হলে বাড়ে পুরুষের নিরাপত্তাহীনতা
গবেষকরা আরও ব্যাখা করেছেন, সম্পর্ক ভাঙার জন্য মেয়েরা তাঁদের প্রাক্তনদেরকেই দায়ী করে থাকে। পুরুষ সঙ্গীদের বহুগামীতা, মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার ইত্যাদি কারণও দেখিয়ে থাকেন। কিন্তু পুরুষদের জিজ্ঞেস করা হলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা বলেন আলাদা হওয়ার কারণ তাঁদের জানা নেই। ব্রেক আপ পরবর্তী সময়ে বন্ধু বান্ধব, কাছের মানুষদের সঙ্গে ভাঙ্গা প্রেমের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই সামলে উঠতে থাকে মেয়েরা। তবে প্রাক্তন সঙ্গী তাঁর জন্য সঠিক পছন্দ ছিল না, পুরুষেরা কিন্তু তেমন মনে করেন না।
তবে এই সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্যের পেছনে নিশ্চয়ই আর্থসামাজিক বিশ্লেষণও রয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশেই এখনও ভেঙ্গে যাওয়া প্রেম অথবা বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদেরকেই নানা সমস্যায় প্রতিনিয়ত পড়তে হয়। সে কারণেই যে সম্পর্ক টেকে না, তা নিয়ে তিক্ততা থাকার সম্ভাবনাও সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
Read the full story in English