এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে হাবিজাবি খাবার খেলেই বড্ড সমস্যা। মাঝে মধ্যেই পেট গরম থেকে শরীর গরম। সেই থেকে শারীরিক সমস্যা যেমন অতিরিক্ত ঘাম এবং দুর্বলতা। শরীর গরম হয়ে গেলে কিন্তু বেশ মানসিক অশান্তিও দেখা দেয়। মন কিছুতেই সায় দেয় না। তাই শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহ কম করার অবশ্যই প্রয়োজন আছে।
১৬ই অক্টোবর দিনটিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকেই আন্তর্জাতিক খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এইবারের থিম অনুযায়ী, খাদ্যকে সংযোজিত করা হয়েছে খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গেও প্রয়োজনীয় পুষ্টি, পরিবেশ এবং জীবন দানের ভিত্তিতে। আমরা সকলেই ফুড হিরো - এই চিন্তাধারা সমগ্র বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দিতে হবে।
শরীর সুস্থ থাকে খাবারের হাত ধরেই, পুষ্টিকর এবং প্রয়োজনীয় খাবার খেলেই কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান। তাহলে জেনে নিই প্রদাহ কমাতে কী ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত?
• মাছ : মাছ কিন্তু প্রদাহ কমাতে বেশ কার্যকরী। এবং বিশেষ করে রুই, ম্যাকারেল, কই, কাতলা এবং বাটা মাছ এগুলি অবশ্যই খেতে পারেন। এতে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শারীরিক প্রদাহ কম করতে সক্ষম।
• ব্রকলি : সবুজ ফুলকপি অথবা ব্রকলি বাচ্চাদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়। এতে উপস্থিত সালফেরফেন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রদাহ কম করতে কাজ করে। সিকোটিনস এর প্রভাব কম করে ফলেই প্রদাহ কমতে থাকে।
• গ্রিন টি : এটি এখন অনেকেই খেয়ে থাকেন। এটি ওজন যেমন কম করে তেমনই শারীরিক প্রদাহ কম করে! কীভাবে? এতে এপিগ্যালোকেটছিন থ্রি গ্যালে ট থাকে বলেই এটি কোষে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড কে কম করতে পারে। তার সঙ্গে সঙ্গেই প্রদাহ কম হয়। তাই গ্রিন টি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে বেশ ভাল।
• মাশরুম : অনেকেই খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকেই না। মূলত ট্রাফলস, পর্ত্ববেলো এবং শিত্তাকে মাশরুম প্রদাহ কমাতে কাজ করে। এতে কপার, সেলেনিয়াম, এবং ভিটামিন বি থাকে বলেই এটি দারুন অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি খাদ্য। এমনকি ওবেসিটি জনিত প্রদাহ কমাতেও এটি কাজ দেয়।
আরও পড়ুন < প্রোটিন পয়জিনিং সম্পর্কে শুনেছেন? জানেন এর লক্ষণ কী কী? >
• অভোক্যাডো : নতুন স্কিন সেলস গুলি থেকে প্রদাহ বের করতে এটি কার্যকরী। এতে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার সঠিক পরিমাণে থাকে। এক টুকরো অভোক্যাডো ভীষণ মাত্রায় প্রদাহ কম করতে পারে। অন্তত স্যালাড হিসেবে এটি খাওয়াই উচিত।
• আঙ্গুর : ফলের মধ্যে আঙ্গুর অনেকেই স্বাদের কারণে পছন্দ করেন। এতে অ্যান্থসিয়ানিন প্রচুর পরিমাণে থাকে, তাই শরীরের অতিরিক্ত তাপ সহজেই বেরিয়ে যায়। যারা রোজ কিংবা একদিন বিরতিতে আঙ্গুর খান তাদের মধ্যে প্রদাহের সমস্যা হয় না।
• হলুদ : এটি আয়ুর্বেদিক ওষধি হিসেবে দারুন উপযোগী। হলুদে কারকিউমিন থাকে এবং এটি রোজ সময় করে খেলে অন্তত এক চামচ, ডায়াবেটিস, অ্যাথ্রাইটিস এবং প্রদাহ জনিত অন্যান্য রোগ নিরাময় হয়। এর সঙ্গে যদি কেউ গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারে তবে আরও ভাল।
তবে খাবার কিন্তু শরীরের পক্ষে উপযোগী হওয়া উচিত! ভেবে চিন্তে পরামর্শ নিয়েই খান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন