এপ্রিল মাসটা সারা পৃথিবী জুড়ে পার্কিনসন্স সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। ১১ তারিখটি বিশেষ করে। পার্কিনসন্স এক ধরনের নিউরো ডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার।
এই রোগটি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মানুষের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল ধারণা থাকে। একবার দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী
পার্কিনসন্স থাকলে শুধুমাত্র হাঁটা চলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়
সত্যিটা কী- চলা ফেরা জনিত সমস্যা ছাড়াও ঘুমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তচাপ কমে যাওয়া, হাইপো টেনশন, প্রস্রাবজনিত সমস্যা দেখা যায়।
এই রোগে সবচেয়ে প্রচলিত উপসর্গ হল হাত কাঁপা
সত্যিটা কী- হাত পা কাঁপা নিশ্চয়ই পার্কিনসন্স রোগের লক্ষণ, তবে এই রোগ হওয়ার অনেক বছর আগেই ভবিষ্যতের রোগীর মধ্যে ওপরে উল্লেখ করা উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন, সন্তানের কোন আচরণ দেখে অটিজমের লক্ষণ বুঝবেন?
একমাত্র ওষুধ খেলেই পার্কিনসন্স সারে
সত্যি কী- জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে পার্কিনসন্সে খানিক উন্নতি দেখা যায়। নিয়মিত স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা, যোগা করলে অনেক উন্নতি হয়
পার্কিনসন্স সেরে যায়
সত্যিটা- পার্কিনসন্স এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায়না। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সার্জারি, ফিজিওথেরাপিতে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বয়স্ক মানুষেরই পার্কিনসন্স হয়
সত্যিটা- অধিকাংশ ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হলেও অনেক ক্ষেত্রে অল্প বয়স, এমন কী ২০ বছরের আগেও পার্কিনসন্স হতে পারে। ভারতে ২৫ শতাংশ কেসে পার্কিনসন্স আক্রান্ত রোগীদের বয়স ৪০ এর কম।
আরও পড়ুন, বয়স্কদের অবসাদ কাটিয়ে দেয় ভিডিও চ্যাট
/indian-express-bangla/media/post_attachments/456054df45b5a49dfc47d13449fd36d12124f9806ce7e78733b4ad7746c316d2.jpg)
পার্কিনসন্স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে
সত্যিটা কী- না, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো সরাসরি এই রোগ থেকে মৃত্যু হয়না। তবে এই রোগ ইমিউনিটি কমিয়ে দেয় বলে অন্য অসুখ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে
পার্কিনসন্স পারিবারিক সূত্রে হয় না
সত্যিটা কী- ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে একজন পার্কিনসন্স রোগীর পরিবারে অন্য কোনও রোগী থাকেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন