World's Heaviest Teen: ১০০ কেজি ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে পৃথিবীর সবচেয়ে স্থূলকায় কিশোর

গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পর বাঁধাধরা খাদ্যতালিকা অনুসরণ করার ফলে মিহিরের ওজন ১০০কেজি কমে গিয়েছে। সংখ্যাটা যে এ ক্ষেত্রে নেহাত কম নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পর বাঁধাধরা খাদ্যতালিকা অনুসরণ করার ফলে মিহিরের ওজন ১০০কেজি কমে গিয়েছে। সংখ্যাটা যে এ ক্ষেত্রে নেহাত কম নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

World's Heaviest Teen Lost 100kg: ছবি সৌজন্য: টুইটার

Worlds Heaviest Teen Lost 100kg and Now Weights 137kg: গত কয়েকবছর ধরে বিছানাতেই জীবনযাপন, তবু কমিক কন-এ অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখত ১৪ বছরের কিশোর মিহির জৈন। আর কার্যত অসাধ্য সাধন করেই সেই স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সে। সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের পরে ১০০ কেজি ওজন কমল বিশ্বের সবথেকে স্থূলকায় কিশোরের। এর আগে তার ওজন ছিল ২৩৭ কেজি, অস্ত্রোপচারের পর এখন অবশ্য তা ঠেকেছে ১৩৭ কেজিতে।

Advertisment

বিপুল ওজনের ভারে শয্যাশায়ী হয়েই দিন কাটত মিহিরের। চলাফেরার সমস্যার পাশাপাশি তার শরীরে বাসা বাঁধছিল বিভিন্ন রোগ। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ডায়াবেটিসের সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তার শরীরে। নিয়মিত ইনসুলিনও চলত।

আরও পড়ুন: সমকাম ‘সারিয়ে তুলতে’ ইলেকট্রিক শক! অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

Advertisment

গত জুলাই-এ বিশ্বের সবচেয়ে ওজনদার কিশোর হিসাবে ঘোষণা করা হয় মিহিরকে। আর তার ঠিক চারমাস পরেই দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের ডাক্তার প্রদীপ চৌবের অধীনে শুরু হয় বছর ১৪-র ওই কিশোরের চিকিৎসা। গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পর বাঁধাধরা খাদ্যতালিকা অনুসরণ করার ফলে মিহিরের ওজন ১০০কেজি কমে গিয়েছে। সংখ্যাটা যে এ ক্ষেত্রে নেহাত কম নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে "এখনও ৫০ কেজি কমানো বাকি" এমনটাই বলছে মিহির।

চিকিৎসার পর শয্যাশায়ী জীবন ছেড়ে এখন দিব্য হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে সে। তবে শারীরিক কসরৎ থামেনি, দিল্লির উত্তমনগরে বাড়ির সামনে নিয়মিত হাঁটাহাটি করার পাশাপাশি ছোট বোন নন্দিনীর সঙ্গে প্রায়ই ব্যাডমিন্টনও খেলছে সে।

ওজনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি আর শারীরিক অক্ষমতার কারণে মাত্র সাত বছর বয়সে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় মিহিরের। তবে সন্তানের এমন দশার জন্য নিজেকেই দোষারোপ করছেন মিহিরের মা, আফসোসের সুরেই তিনি জানান, "স্কুল ছাড়ার প্রথম বছরে বাড়িতে শিক্ষক এসে পড়িয়ে যেতেন, কিন্তু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এবং আরও অন্যান্য সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি মিহির।"