Why Neel Shashti Puja is So Important for Your Child’s Success: নীলষষ্ঠী হল হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি, বিশেষ করে মা ষষ্ঠীর উপাসনার জন্য। মা ষষ্ঠীকে সন্তানের রক্ষাকর্ত্রী ও উন্নতির দেবী হিসেবে মানা হয়। এই বিশেষ দিনে, মা ষষ্ঠীর আরাধনা করলে সন্তানের জীবনে আসে শুভ পরিবর্তন, আর সমস্ত বাধা দূর হয়ে যায়।
কেন পালন করা হয়?
পুরাণ মতে, মা ষষ্ঠী শিশুদের রক্ষা করেন ও তাদের দীর্ঘায়ু, স্বাস্থ্য ও সাফল্য প্রদান করেন। নীলষষ্ঠীতে বিশেষভাবে যারা উপবাস থেকে মা ষষ্ঠীর পুজো করেন, তাঁদের সন্তান জীবনে এগিয়ে চলে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চরিত্র— সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়। জ্যোতিষ মতে, এই দিন পুজো করলে পরিবারের মধ্যে কল্যাণ, সন্তানের উন্নতি ও মানসিক শান্তি আসে। এমনকি যারা নিঃসন্তান, তাঁরাও মা ষষ্ঠীর কৃপায় সন্তান লাভের আশীর্বাদ পেতে পারেন।
কীভাবে পালন করবেন?
সারা দিন উপোসের পর সন্ধ্যায় উপবাসকারীরা শিবের মাথায় জল ঢালেন। এরপর শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল এবং একটি ফল ছুঁইয়ে দেওয়া হয়। গঙ্গামাটি, বেলপাতা, গঙ্গাজল, দুধ, দই, ঘি, মধু, কলা, বেল, মহাদেবের পছন্দের কোনও ফুল। তারপর অপরাজিতার মালা শিবকে পরিয়ে, সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন উপবাসকারীরা। উপোস ভাঙার পর ফল,সাবু অথবা ময়দার তৈরি খাবার খেতে হয়। সন্ধৈব লবণ দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়াই বিধেয়। এই পুজোয় ফল, মিষ্টান্ন, ও বিশেষভাবে বানানো খিচুড়িও অনেকে নিবেদন করেন। পুজোর সময় মা ষষ্ঠীর নাম জপ এবং ষষ্ঠী ব্রতকথা পাঠ বিশেষ ফলদায়ী মনে করা হয়।
আরও পড়ুন- জানেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী কী? কোথায় বেশি পাওয়া যায়? জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
পালনের সঠিক সময়
২০২৫ সালের নীলষষ্ঠী তিথি অত্যন্ত শুভ হিসেবে ধরা হচ্ছে। প্রতিবছরই চৈত্র সংক্রান্তির পূর্বে অর্থাৎ চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়। এবছর ১৩ এপ্রিল, রবিবার অর্থাৎ ৩০ চৈত্র পড়েছে নীলপুজোর তারিখ। এই পুজোয় সন্ধেবেলা শিবলিঙ্গে জল ঢেলে, সন্তানের নামে প্রদীপ বা মোম জ্বালানো সবচেয়ে শুভ। তাই এই শুভ দিনে পুজো করা মানে শুধু একটি রীতি পালন নয়, বরং সন্তান ও পরিবারের জন্য এক আশীর্বাদময় ভবিষ্যতের দিশা খোঁজা। কারণ, মা ষষ্ঠীর কৃপা থাকলে জীবনের বহু সমস্যার সমাধান এমনিই হয়ে যায়।