যোগসাধনার থেকে ভাল অভ্যাস আর কিছুই হতে পারে না। ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চার থেকে মন মানসিক তথা শরীরকে যদি কিছু শান্ত করতে পারে তবে সেটি যোগা। যদিও বা সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে অভ্যাস না করলে অনেক অসুবিধাও হতে পারে। তবে যোগা ইউটিউব কিংবা ভিডিও দেখে না করলেই ভাল। প্রশিক্ষক এর কাছ থেকে শেখা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ন।
Advertisment
কিন্তু খালি পেটে যোগসাধনা আদৌ করা উচিত?
যোগা অভ্যাস এর আসল উদ্দেশ্যেই শরীরকে ফিট রাখা। এটি মানসিক চাপ যেমন কমায় তেমনই এর সঙ্গে কিন্তু ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পুষ্টি এবং খাদ্য বিন্যাস। তাহলে এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে আদৌ খালি পেটে যোগা অভ্যাস করা উচিত নাকি না!
রোগা হওয়ার পথে অনেকেই খাবার খেতে ভুলে যান, কিংবা অনেকক্ষণ সময় কিছু না খেয়েই থাকেন। সুতরাং সেই বিষয়ে একটু নজর দেওয়া দরকার। পুষ্টিবিদ অনুষ্কা পারওয়ানি এবং পূজা মাখিজা এই সম্পর্কেই ধারণা দিয়েছেন। তারা বলছেন, এই ভুল ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে এবং সেটা একেবারেই ঠিক নয়। দিনের পর দিন ভুল করতে থাকলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
পূজা বলছেন, সকালে যোগা কিংবা ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই হালকা কিছু খেয়ে নেওয়াই শ্রেয়। মেটাবোলিজম কে আঘাত করবে এমন কিছু নয়, বরং হালকা এবং হজম তাড়াতাড়ি হবে এমন কিছু। নয়তো খেজুর, বাদাম অথবা ফল দিয়েই দিনের শুরু করার পরামর্শ দিলেন পূজা। কারণ খালি পেটে ব্যায়াম করলে শরীরের অগ্নি মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে এক ধরনের দুর্বলতা এবং শরীরে জ্বলুনি ভাব সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে অনুষ্কা বলছেন, যোগা খালিপেটে করলেও অসুবিধা নেই। কারণ এতে শরীরের ওপর ধকল খুব একটা পড়ে না। এবং খালিপেটে যোগা শ্বাসযন্ত্রের নানা রোগ সারাতে খুব ভাল কাজ করে। এতে শরীরে কোনও বাঁধা থাকে না। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে শুধু এক গ্লাস জল খেলেই হল - তাতে করে পাকস্থলীর ওপর হালকা একটি আস্তরণ পড়ে যায়।
তবে সকলের ক্ষেত্রে সমান নাও হতে পারে। সুতরাং খেয়াল রাখতে হবে যেন, প্রশিক্ষক যেমন বলছেন সেই অনুযায়ী কাজ হয়। শরীরের ঊর্ধ্বে গিয়ে কিছুই ঠিক নয়। বিশেষ করে যারা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু আরও বেশি করে সতর্ক থাকা উচিত।