ভ্যাকসিন নিয়ে নানান গুজবের শেষ নেই। কেউ বলে ডোজের পরিমাণ কম আবার কেউ বলে শারীরিক রিয়্যাকশন না হলে নাকি ভ্যাকসিন কাজ করবে না। কিন্তু কোনটি সঠিক আর কোনটি মিথ্যে এই নিয়ে নানান শোরগোল। প্রত্যেকের মতেই তারা সঠিক। কিন্তু এতে গুজবের অন্ত নেই।
ভ্যাকসিন গ্রহণের পর মানুষ বিশেষে তার প্রভাব লক্ষনীয়। কেউ কেউ কোনরকম অসুবিধাই ভোগ করেন না আবার বেশিরভাগই জ্বর, দুর্বলতা, গা হাত পা ব্যথা এইসবের সম্মুখীন হন। অনেক কিছুই রটে তবে কতটা সত্যি কিনা বটে এই প্রসঙ্গেই এক নিদারুণ ধারণা রইল আপনাদের জন্য!
প্রথমত, অনেকেই বলেন যাদের পূর্বে একবার কোভিড হয়ে গেছে তাদের নাকি আর ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কিছুদিনের বিরতি অবশ্যই প্রয়োজন তার মানে এই নয় কোনোদিন ভ্যাকসিন প্রয়োজন নয়। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন, উনাদের পরামর্শ মতই কাজ করুন।
দ্বিতীয়ত, অনেকেই বলেন ভ্যাকসিনটি সঠিক ভাবে পরীক্ষাধীন নয় কিংবা এর প্রতি সন্দেহ অনেকেরই খারাপ। অনুমোদনের প্রয়োজনে একরকম তাড়াহুড়ো করেই এই ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পর নানান পরীক্ষার মধ্য দিয়েই ভ্যাকসিন বাজারে প্রেরণ করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবে এটি নিরাপদ। বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা বিরূপ প্রভাব এটিই খুব স্বাভাবিক বিষয়।
তৃতীয়, মেয়েদের ক্ষেত্রে নাকি শিশু ধারণের ক্ষমতা নাকি কমে যায়। ডিম্বাশয়ের কাউন্টিং নাকি ক্রমশ কমতেই থাকে। যদিও এর প্রসঙ্গে কোনও সত্যতা নেই। তারপরেও এই ধারণাটি এক্কেবারে ভুল। ভ্যাকসিন গ্রহণের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এই ধারণা থেকে বিরত থাকুন।
চতুর্থ, হাড়ের জোর ভ্যাকসিনের কারণে নাকি কমে যাচ্ছে। কারণ আরএনএ মদুলেশন শরীরে অ্যাসিড বৃদ্ধি করে এবং হাড়ের ক্ষত সৃষ্টি করে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ভ্যাকসিন গ্রহণের দ্বারা কখনই শরীরে অ্যাসিড সৃষ্টি হতে পারে না। তাই এটি ভুল ধারণা। এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের জোর কমতেই পারে তার সঙ্গে ভ্যাকসিনের সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন < খাবারে শুধুই স্যালাড খান? জেনে খাচ্ছেন তো! >
পঞ্চম, গর্ভাবস্থায় নাকি ভ্যাকসিন গ্রহণ করা যায়না। এতে নাকি শিশুভ্রুনের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এর সাপেক্ষে কোনও যুক্তি নেই। গর্ভপাতের বিষয়টি দুইরকম হতে পারে, কেউ কেউ অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই সুস্থতা বজায় থাকে। অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে, ভ্যাকসিন অ্যান্টিবডি শরীরে নানান সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং সেই থেকেই নাকি বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তবে এটি সবক্ষেত্রে সমান নয়। তাই চিকিৎসা শাস্ত্রের অধীনে পরামর্শ নিন।
তাই এসব ভুয়ো বিষয় থেকে দূরেই থাকুন, অযথা ব্যতিব্যস্ত হবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন