আমাদের স্বভাব, অভ্যেস, এগুলো যেমন নিজেদের চেয়ে ভালো কেউ বোঝে না, তেমনি আবার আমাদের ব্যক্তিত্ব সব মিলিয়ে কেমন, তা কিন্তু ধরতে পারে আমি ছাড়া অন্য কেউ। নিজেকে জানার, চেনার ইচ্ছে আমাদের তীব্র। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেল স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটির ধরন দেখে আমাদের ব্যক্তিত্ব আঁচ করা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ফ্লোরা সালিম জানিয়েছেন, “ফোনে কথা বলার সময় আমরা কতটা জোরে হাঁটি, কতটা পথ হাঁটি, রাতে কখন ফোনে কথা বলি, এসব থেকে আমাদের ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়”।
আবার সারাদিন বা সপ্তাহভর কে কেমন কাজ করছে, তার ভিত্তিতেও ব্যক্তিত্বের একটা আঁচ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন, খরচার ধাত দিয়ে ধরে ফেলা যায় মানুষের চরিত্র
কার ব্যক্তিত্ব কেমন?
সারা সপ্তাহ ধরে যারা সমান সক্রিয় থাকেন, তাঁরা আসলে ইন্ট্রোভার্ট অথবা অন্তর্মুখী। বহির্মুখী বা এক্সট্রোভার্ট চরিত্রের মানুষ সপ্তাহভর নানা রকম লোকের সঙ্গে দেখা করেন। পরিকল্পনা ছাড়াই নতুন কাজে নেমে পড়েন।
অমায়িক চরিত্রের মানুষেরা সাধারণত সপ্তাহান্তে অথবা সপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় সন্ধেবেলা ব্যস্ত থাকেন বেশি। বন্ধুত্বপূর্ণ অথবা দয়াশীল চরিত্রের মহিলারা যেমন ফোনে আউট গোয়িং কল খুব বেশি করেন।
আরও পড়ুন, ফেসবুক আঁকড়ে থাকেন ‘নিতান্তই সাধারণরা’, বলছে গবেষণা
খুব অল্প দিনের মধ্যে একই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিরা। সংবেদনশীল মহিলারা খুব ঘনঘন মোবাইল দেখেন, এমন কী মাঝরাতেও, নতুন কিছু এল কী না ফোনে, দেখে নেন বারবার। আবার সংবেদনশীল পুরুষেরা ঠিক তার উল্টোটা করেন।
অনুসন্ধিৎসু স্বভাবের লোকেরা খুব কম ফোন রিসিভ করেন।
“মানুষের ফোন সংক্রান্ত এই সব ব্যবহার দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানা কাজ করে। যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রেন্ড রেকমেন্ডেশন আসে গ্রাহকের ব্যবহার নিয়ে গবেষণার পরেই। কিন্তু তারপরেও যেটা সবচেয়ে মজার বিষয়, আমরা নিজেদের চরিত্র সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। অনেক অভ্যেস, আচরণ আমরা সচেতন ভাবে করিনা”, জানালেন আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিরত ন্যান গাও।
তাহলে এবার নিশ্চয়ই বলাই যায়, ফোনের আমি, ফোনের তুমি, ফোন দিয়ে যায় চেনা।