ন'টি ভারতীয় ভাষায় বই প্রকাশ করছে অ্যামাজন-ওয়েস্টল্যান্ড। তাদের প্রথম ভারতীয় ভাষার বইটি বাংলায়। সে বই প্রকাশিত হল শুক্রবার, অক্সফোর্ড বুক স্টোরে। সংস্থার পক্ষ থেকে মীনাক্ষী ঠাকুর জানালেন, এই ভারতীয় ভাষার বইগুলি প্রথমে ইংরেজি ও পরে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হবে। বাংলায় যে বইটি প্রকাশ করা হল, সেটি শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস, ‘তেরো নদীর পারে’।
২০০১ সালের ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা এই উপন্যাসটিকে ‘আনপুটডাউনেবল’ আখ্যা দিয়েছেন প্রকাশকরা। এদিনের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল অরুণাভ সিনহার সঙ্গে উপন্যাসের লেখক শীর্ষর কথোপকথন। উপন্যাস নিয়ে বেশি কথা বলতে চাননি দুজনের কেউই, কারণ থ্রিলারধর্মী এ উপন্যাসের 'স্পয়েলার' দিতে চাননি তাঁরা।
আরও পড়ুন, কলকাতা বইমেলা ২০১৯: ৮টি জরুরি তথ্য যা জানা দরকার
তবে শীর্ষ বললেন, তাঁর সাংবাদিকতা পেশা তাঁকে সে সময়ের এবং তৎপরবর্তীকালের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে নিরন্তর রেখে দিয়েছিল। যা তাঁকে এ উপন্যাসের নির্মাণশক্তি জুগিয়েছে। উপন্যাসের একটি অংশ পাঠও করলেন তিনি।
সাংবাদিকতা পেশা এ বই লিখতে সাহায্য করেছে বলে জানালেন লেখক
শীর্ষর বইয়ের পর বাংলায় আর কী বইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে? মীনাক্ষী জানালেন, "আমরা মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নতুন বই এবং পুরনো বইগুলি নতুন করে বাংলায় প্রকাশ করতে চলেছি।" শুধু বই প্রকাশ করেই দায়িত্বপালন শেষ করে ফেলছেন না তাঁরা। সে বইগুলিকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন মীনাক্ষী। তাঁরা বিভিন্ন সাহিত্যমেলায় বই ও লেখককে নিয়ে যাবেন, পরিচিত করাবেন বৃহত্তর পাঠকগোষ্ঠীর সামনে।
বিভিন্ন ভাষার সমসাময়িক লেখকদের বেছে নেওয়ার জন্য ওয়েস্টল্যান্ডের তরফ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ভাষার গবেষকদের ওপর। শীর্ষর লেখা বেছেছিলেন অরুণাভ। মীনাক্ষী বললেন, "যে অধ্যায়টি শীর্ষ এখানে পাঠ করলেন, সেই অধ্যায়টি অরুণাভ আমাকে পড়ে শুনিয়েছিলেন। তারপরেই আমরা কথাবার্তা শুরু করি।" এ ছাড়াও আঞ্চলিক ভাষার প্রকাশকদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছে ওয়েস্টল্যান্ড, যাঁরা অনুবাদ ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের সহযোগিতা করে চলেছেন।
এদিন পুস্তক প্রকাশ ও আলোচনার পর লেখকের সঙ্গে আলাপচারিতার একটি সেশন করা হয়েছিল বটে, কিন্তু সে আলাপচারিতা বা প্রশ্নোত্তর নেহাৎই জোলো একটি পর্বে পর্যবসিত হওয়ায় বাংলা সমসাময়িক উপন্যাসের পাঠপ্রক্রিয়া ও পাঠপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থেকেই গেল।