একলা
যে সব অসুখের কথা বলি নি,
সে সব অসুখ আঙুলে চেপে ধরে গলা।
একলা ঘরের সব কোণ ভিজে যায় –
লেখার টেবিলে কেউ বসে না
বারবার ফোন দেখি- কে ? কে?
অসুখ ছাড়া আসে না কেউ।
মেঘদূত আরো দূরে ফিরে যায় বর্ষায়;
সে জানে আমার অসুখ...সে জানে আমি একলা আছি।
আরও পড়ুন, Literature: সর্বজিৎ সরকারের কবিতা
আসন্ন অসুখ
এবার একটা বিচ্ছিরি অসুখ করবে আমার
তবু কেউ মাথায় হাত রাখবে না
দেখবে না কত জ্বর!
রক্ত, হাড়, মজ্জা ফুটে ফুটে রান্না হবে উনুনে
যেখানে রোজ তোমার চা হয়,আপেল কাটা হয় ;
আমাকে জানলা ছাড়া ডাকে না কেউ
একা একা বড় বেহালা শুনতে ইচ্ছে করে
এবার অসুখ হবে ক’দিন পরেই।
আরও পড়ুন, তিনটি কবিতা- জারিফা জাহান
ভয়ের ওপারে
আসলে আমার জল ভয় করে
সে নিয়ে নেয় সব।
লাটিম থেকে খুলে আসে ঘূর্ণি
নদী থেকে উড়ে যায় স্রোত
দূর থেকে চিঠি আসে
স্নানে স্নান হয় ঝর্ণা আর চাঁদের রূপো
আগুনে আগুন লেগে পুড়ে যায় ভয়
তারপর,
মন্ত্র, হোম,স্তব অন্তরা – সব ফুল হয়ে ওঠে
সব ভয় পেরিয়ে, আমিও স্নান শিখি পুনরায়।
আরও পড়ুন, জয়শীলা গুহ বাগচীর তিনটি কবিতা
রাজকাহিনি
কলিংবেল বাজিয়ে একটা পাখি ঢোকে ঘরে।
তার পালকে পালকে খাতার পাতা
চোখের তারায় অক্ষররেণু
পাখিটি গ্রীন টি চায় মিনিটে মিনিটে
মাথা উঁচু করে ডাকে, ‘পারিজাত এদিকে এস’
ওমনি আমি ওড়া ভুলে যাই
ওমনি আমি বুঝতে পারি গত সাড়ে সতেরো বছরের পাপ
পাখিটা কলিংবেল বাজায়...
আমাকে ঘুম শেখায় সুন্দর এক সকাল চেনাবে বলে।