জয়প্রকাশ নারায়ণ দেশের সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ করতে বলেছিলেন। তার পরই ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে টানা ২৮ দিন রেল ধর্মঘট ডেকে দেশকে অচল করে দিয়েছিলেন জর্জ ফার্নানডেজ। সমস্ত মৌলিক অধিকার বাতিল করে, মিসা-য় নতুন ধারা যোগ করে বিভিন্ন অভিযোগে ৩৯ জন সাংসদ সহ জয়প্রকাশ নারায়ণ, জর্জ ফার্নান্ডেজদের গ্রেফতার করা হয়েছিল জরুরি অবস্থার সময়।
আজকের হিন্দুত্ববাদী নেতারা জয়প্রকাশের সেই আন্দোলনকে, সেনা বাহিনীকে বিদ্রোহ করার সেই আহ্বানকে সেই সময় সক্রিয় ভাবে সমর্থন করেছিলেন। পরে, ১৯৭৭-এ কংগ্রেস পরাজিত হল। পরাজিত হলেন ইন্দিরা গান্ধী। জনমত খারিজ করে দিল তাঁর ঔদ্ধত্যময় জরুরি অবস্থা। জনতা পার্টির সরকার হল। আজকের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের অনেকে সেই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। সেই প্রথম দেশে অকংগ্রেসি কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ করতে বলেছিলেন যে নেতা, অসুস্থতার জন্য প্যারোলে মুক্ত থাকা সেই জয়প্রকাশ নারায়ণের উপর থেকে সব অভিযোগ তুলে নিল নতুন সরকার। ২৮ দিন রেল ধর্মঘটের নেতা, বরোদা ডিনামাইট মামলায় অভিযুক্ত, জর্জ ফার্নান্ডেজকে নিঃশর্ত মুক্তি দিল সেই জনতাপার্টির সরকার। মুক্তি পেলেন বন্দি মোরারজি দেশাই সহ সব সাংসদ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিরা। মোরারজি দেশাই হলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
গণতন্ত্রে এমনই হয়। এমনই হওয়ার কথা। কিন্তু কখনও যদি দেখা যায় ‘এমন’ হচ্ছে না, তখন মনে পড়েই যেতে পারে ফেলে আসা জরুরি অবস্থার দিনগুলোর কথা।
২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই ছবিটা বদলাতে শুরু করে। সিডিশন অ্যাক্ট বা দেশদ্রোহিতা আইন পরাধীন ভারতে ভারতীয়দের স্বাধীনতা-চিন্তাকে রুখতে ইংরেজরা এনেছিল। যা ‘১২৪-এ ধারা’ নামে পরিচিত। ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করার পর মিসা আইনে যে নতুন ধারা সংযোজন করেছিলেন তাতে এই ১২৪-এ ধারাও কৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যাই হোক, স্বাধীনতার পর এই সিডিশন আইন বা দেশদ্রোহিতা আইন রাখা হবে, না ফেলে দেওয়া হবে, এই নিয়ে বহু তর্ক হয়েছে। তর্ক হয়েছে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতেও। ইংল্যান্ড এই আইন ফেলে দিয়েছে। আমাদের দেশে থেকে গিয়েছে।
শুধু থেকে গিয়েছে নয়, ১৮৯৮, ১৯৩৭, ১৯৪৮, ১৯৫০, ১৯৫১ এবং ১৯৫৫ সালে এই আইনে নানা ধরনের সংশোধনী এনে এটা এটাকে একটা ভয়ঙ্কর আইনে পরিণত করা হয়েছে। সিডিশন কাকে বলে? চিত্রাংশু সিনহা তাঁর ‘দ্য স্টোরি অফ গ্রেট রিপ্রেশন’ বইয়ে লিখেছেন ‘Who ever, by words , either spoken or written, or by signs, or by visible representation, or otherwise, bring into hatred or contempt, or excites, or attempts to exicite dissatisfaction towards, the Government established by law in India, shall be punished with imprisonment for life, to which fine may added, or with imprisonment which may extend to three years……’
লক্ষণীয়, যে ভাবে এই আইন করা হয়েছে, তাতে অপছন্দের যে কোনও ব্যক্তিকে রাষ্ট্র চাইলে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে পারে। এমন সুযোগ দেওয়া আছে এই আইনে। ধরুন আপনার বাড়িতে মার্ক্স-এঙ্গেলস- লেনিনের বই আছে, যেখানে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের কথা বলা আছে, আপনাকে ধরে আজ নয়তো কাল রাষ্ট্র বলতে পারে দেশদ্রোহী।
গান্ধীর সত্যাগ্রহের ভাবনা এবং আদর্শ, যা আজকের শাহিনবাগ, এই আইনে তাকে ‘দেশ কো গদ্দার’ বলতেই পারে কেউ। সুভাষ বসুর তরুণের স্বপ্ন বইয়ে সুভাষ তরুণদের উদ্দেশে লিখেছেন, যেখানেই অন্যায় দেখবে রুখে দাঁড়াও, দেখবে মুহূর্তের মধ্যে তুমি সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই বই পড়ে কেউ যদি সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত, বা ধরুন সিএএ নামের আইনকে অন্যায় মনে করে, তার প্রতিবাদ করার শিক্ষা তো নেতাজি সুভাষ দিয়ে গিয়েছেন তরুণদের।
কিন্তু কোনও নির্বাচিত সরকার এই আইনের বলে সেই প্রতিবাদকে দেশদ্রোহী তকমা দিতেই পারে। যারা সরাসরি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে ঘোষিত ভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে তাঁদের কথা এই লেখার বিষয় নয়। এই লেখার বিষয়, যাঁরা ভাবনা, চিন্তা, শিল্প, নাটক, বক্তৃতার জন্য মোদি সরকারের কাছ থেকে দেশদ্রোহিতার তকমা পেয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন, বিচার চলছে যাদের, তাঁদের জন্য।
এত কথা এই কারণে যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে স্কুলে নাটক করার জন্য দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দিনের পর দিন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শিশুদের। কর্নাটকের বিদারের একটি স্কুলে সিএএ নিয়ে নাটক করার জন্য এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিহারে একটি গানের তালে তালে নাচার জন্য ৮ জনকে দেশদ্রোহের এই আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ২০ জুন, ২০১৮) যাদের মধ্যে ৫ জন ছিল নাবালক। ঠিকই গানের বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট ছিল খুবই আপত্তিকর, যেখানে বলা হচ্ছিল ‘আমরা পাকিস্তানের মুজাহিদিন...আমাদের বাধা দিলে টুকরো টুকরো করব ইত্যাদি ইত্যাদি...’ খুবই আপত্তিকর কথা গানের। অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত এর পেছনে কারা আছে জানার জন্য।
কিন্তু প্যান্ডেলে অনেকক্ষণ ধরে গান বাজছে, স্থানীয় ছেলেরা নাচছে, তার মধ্যে কেউ একজন হয়তো ওই গান চালিয়ে দেয়, না-বুঝেই ছেলেরা নাচছিল। বাড়ির লোকজনেরা তেমনই বলেছিল সাংবাদিকদের। পরে অবশ্য অভিযুক্তরা ছাড়াও পেয়ে যায়।
গণপটুনি বা লিঞ্চিং-এ একের পর এক সংখ্যালঘু মানুষের মৃত্যুর প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি লেখার জন্য এক আইনজীবীর উদ্যোগে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা হয়েছিল মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনেগালদের বিরুদ্ধে। সেই মামলা পরে পুলিশই খারিজ করে দেয়। কানহাইয়া কুমারদের বিরুদ্ধেই এমন মামলা হয়েছিল। টেকেনি। তাঁদের ফাঁসানোর জন্য জাল ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছিল।
২০১৮-তে ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক কমল শুক্লার নামে এফআইআর করা হয়েছিল দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে একটা কার্টুন ফেসবুকে শেয়ার করার জন্য। মনে রাখতে হবে এই কমল শুক্লা ছত্তিশগড়ে রাষ্ট্রের হাতে মানবাধিকার হরণের ঘটনা নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট লিখে রাজ্য সরকারকে ক্রমাগত চাপে রাখতেন। এছাড়াও ফেসবুকে অপছন্দের মন্তব্য লেখার জন্য রাষ্ট্রের কোপে পড়ার এবং দেশদ্রোহিতা অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার একাধিক ঘটনা রয়েছে। তবে তার বেশির ভাগই শেষ পর্যন্ত আদালতে টেকেনি। অতি সাম্প্রতিক ঘটনা জেএনইউ-এর শরজিল ইমাম।
গত ২৮ জানুয়ারি বিহারের জেহনাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি বক্তৃতায় অসমকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বলেছিলেন। কোনও একটা রাজ্যে বনধ ডেকে সেই রাজ্যকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সেটা কি দেশদ্রোহিতা? জয়প্রকাশ নারায়ণের সেনা বাহিনীকে বিদ্রোহের ডাক, ১৯৭৪-এর ২৮ দিনের রেল ধর্মঘট, যা আজকের হিন্দুত্ববাদী নেতারা সক্রিয় ভাবে সমর্থন করেছিলেন, সেটা কি দেশদ্রোহিতা ছিল? এমন যুক্তিতে তো ব্যাংক ধর্মঘট, পরিবহণ ধর্মঘটকেও দেশদ্রোহিতার তকমা দিয়ে দেওয়া যায়। আমরা কি ভবিষ্যতে তাই দেব? শরজিলের মামলা বিচারাধীন। আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে বিশ্বাস হয়, এই বক্তৃতার অভিযোগ দেশদ্রোহিতা বলে গণ্য হবে না।
আমাদের দেশে ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া নামে যে বাৎসরিক খতিয়ান প্রকাশিত হয় তার শুরু ১৯৫৩ সালে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো এই খতিয়ান প্রকাশ করে। এই খতিয়ানে যাবতীয় অপরাধের তথ্য ধরা থাকে।
যেমন ২০১৮ সালের অপরাধ প্রসঙ্গে সম্প্রতি প্রকাশিত এই সরকারি রিপোর্ট বলছে আমাদের দেশে প্রতিদিন ৯১টি ধর্ষণ, ৮০টি খুন এবং ২৮৯টি অপহরণের ঘটনা ঘটে। যদিও বাস্তবের ছবিটা সম্ভবত আরও বেশি ভয়াবহ। এই রিপোর্টেই এমন আশংকার ইঙ্গিত রয়েছে।
কিন্তু আমাদের সরকার এই সব অপরাধের ভয়াবহতা, ব্যাপ্তি নিয়ে যতটা চিন্তিত তার থেকে কি বেশি চিন্তিত ফেসবুক, নাটক, নাচ আর বক্তৃতার দেশদ্রোহিতা নিয়ে? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। এই ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর যে রিপোর্ট, তাতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের তালিকা থাকে। কিন্তু দেশদ্রোহিতা অপরাধের তালিকা আগে থাকত না। এই তালিকা প্রথম দেখা গেল ২০১৪ সালে। সে বছর ৪৭টি মামলা হয়েছিল এই অভিযোগে ১২৪-এ ধারায়। গ্রেফতার হয়েছিল ৫৮ জন।
চিত্রাংশু সিনহা তাঁর ‘দ্য স্টোরি অফ গ্রেট রিপ্রেশন’ বইয়ে তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন এই সব অভিযোগের একটা বড় অংশ শেষ পর্যন্ত আদালতে পুলিশ প্রমাণ করতে পারে না। অভিযুক্ত মুক্তিও পান। তবে বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। ফলে আদালতই একমাত্র ভরসা। সম্প্রতি আদালত নিয়ে কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কিছু গুরুতর প্রশ্ন অবশ্য তুলেছেন, তবু ভারতীয় গণতন্ত্রের এই স্তম্ভটি বাকি সব ক’টি স্তম্ভের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে প্রমাণিত এবং দেশবাসী তা জানে। কিছু অভিযোগ সত্ত্বেও এমনই মানুষের ধারণা। তবুও একবার দেখে নেওয়া যাক অভিযোগ গুলো কী কী।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মার্কেণ্ডেয় কাটজু এবং দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অজিতপ্রকাশ শাহ দেশের বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা, মোদী সরকারের সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় এবং রাম মন্দির সহ বেশ কিছু রায় নিয়ে কিছু গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। গোপনে নয়, প্রকাশ্যে বক্তৃতা দিয়ে বলেছেন। ফেসবুকে লিখেছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে অভিযোগগুলো এখানে লেখা হল না। তবে যে কেউ ইন্টারনেটে গিয়ে বা এই বিচারপতিদের ফেসবুকের পাতায় গিয়ে দেখে নিতে পারেন তাঁদের মতামত, বা নিবন্ধ।
খুব কম হলেও দু’একটি ইংরেজি সর্বভারতীয় দৈনিকে বিচারপতি অজিতপ্রকাশ শাহের বক্তব্য বিস্তারিত ভাবে ছাপাও হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। যে সব অভিযোগ তাঁরা তুলেছেন, এক কথায় বলতে গেলে, আদালতের উপর মানুষের আস্থা যেমন রয়েছে, তেমনই এই সব অভিযোগও জন পরিসরেও খুব একটা অচেনা নয়। বিচার ব্যবস্থা নিশ্চয়ই এর আক্ষরিক অর্থে জবাব দেবে না। দেওয়ার কথাও নয়।
কিন্তু জনমনে এমন ধারণার নিরসনের একটা দায়িত্ব তো থাকে! দীর্ঘ সময় নিয়ে গড়ে ওঠা কোনও ধারণার বিরুদ্ধে যদি কখনও ভিতর থেকেই কোনও সংশয় উঠে আসে, সংশয় দূর করার উদ্যোগও ভিতর থেকেই কাম্য। কেউ বলতে পারেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের উদ্বেগকে কেন ভিতর থেকে জেগে ওঠা উদ্বেগ বলা হবে? কারণ, শীর্ষপদে দায়িত্ব পালন করে আসা এই সব ব্যক্তিরা ওই ঐতিহ্যের, ধারণার অংশীদার শুধু নয়, এই ধারণা গড়ে তোলার পিছনে অন্যান্য পূর্বসূরীদের মতো তাঁদেরও অবদান অনস্বীকার্য। এর সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দেওয়া উচিত বিচারপতি জে চেলমেশ্বর, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এম বি লোকুর এবং বিচারপতি কুরিয়ান জোশেফ প্রায় দু’বছর আগে প্রথা ভেঙে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধান তৎকালীন বিচারপতির কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁরা প্রথা ভেঙে এই কাজ করেছেন কারণ ভবিষ্যতে যাতে কেউ না বলতে পারেন তাঁরা তাদের দায়িত্ব পালন করেননি। উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান নষ্ট হলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে’। আজকের অবসরপ্রাপ্তদের গলায়ও প্রায়ই একই সুর।
হ্যাঁ, এই যে অবসরপ্রাপ্তরা, কর্মরত বিচারপতিরা বিভিন্ন সময়ে নিজেদের ভেতরের ত্রুটি, বিচ্যুতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন, প্রশ্নের ঝড় তুলছেন, এটাই প্রমাণ, ভারতীয় গণতন্ত্র কতটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। আর তাই, কোনও সরকারের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ ওঠে দেশদ্রোহী আইনের অপব্যবহারের, তখন এই বিচার ব্যবস্থা, গণতন্ত্রের এই তৃতীয় স্তম্ভের কাছে গিয়েই তো আমরা দাঁড়াব, সত্যের জয় আশা করব। সেটাই তো স্বাভাবিক।
(শুভাশিস মৈত্র বরিষ্ঠ সাংবাদিক, মতামত ব্যক্তিগত)
এই কলামের সব লেখা পড়ুন এই লিংকে ক্লিক করে