Israel Iran Conflict: বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, কিছু দেশ এমন উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন তৈরি করেছে যাতে শত্রু পক্ষের রীতিমতো কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনই একটি শক্তিশালী ড্রোন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ইজরায়েলের শক্তিশালী বন্ধু আমেরিকা,আর প্রবল শক্তিশালী এই দেশের কাছেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির 'স্টিলথ ড্রোন' যেটি শত্রুর চোখ এড়িয়ে মিশন সম্পন্ন করে সুরক্ষিত ভাবে ঘাঁটিতে ফিরে আসতে পারে।
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার এই 'অদৃশ্য শক্তি' ইজরায়েলের কাছে হয়ে উঠেছে শক্তিশালী ঢাল। স্টিলথ ড্রোন মানে এমন একটি ড্রোন যেটিকে সাধারণ রাডার সিস্টেম কোন ভাবে ট্র্যাক করতে পারে না। এর নকশা, ওড়ার ধরণ এবং প্রযুক্তি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি শত্রুদেশের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে প্রবেশ করতে পারে এবং নীরবে পর্যবেক্ষণ করে নির্ভুলতার সঙ্গে আক্রমণ করতে পারে।
এতে ইন্সটল করা হয়েছে হাই- রেজোলিউশন ক্যামেরা, সেন্সর এবং টার্গেটিং সিস্টেম। হাজার হাজার কিলোমিটার ননস্টপ উড়তে পারে এবং শত্রুদেশ ড্রোনের চিহ্নটুকুও ট্র্যাক করতে পারে না। RQ-170 সেন্টিনেল হল আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী 'স্টিলথ ড্রোন' যেটি ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান, পাকিস্তান এমনকি ইরানের সীমান্তেও গোপন অভিযান পরিচালনা করেছে। শত্রুর চোখ এড়িয়ে তথ্য সংগ্রহে এই ড্রোন বিশেষ পারদর্শী। XQ-58A Valkyrie ড্রোনের দাম কম হলেও উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন যা যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি খুব দ্রুত এবং এই ড্রোনকে ট্র্যাক করা খুব কঠিন।
MQ-25 Stingray, মার্কিন নৌবাহিনীর নতুন আশ্চর্যজনক ড্রোন যা বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে পারে। এটি কেবল গোপন মিশনই সম্পন্ন করে না, বরং শূন্যে জ্বালানি ভরার কাজও করে।
গতকালের হামলার পালটা ইরান যদি পালটা প্রত্যাঘাত চালায় তাহলে আমেরিকার এই অত্যাধুনিক ড্রোনগুলি ইজরায়েলের ঢাল হয়ে দাঁড়াবে। 'স্টিলথ ড্রোন' হল আমেরিকার অদৃশ্য শক্তি শত্রুর শিকড়কে নাড়িয়ে দিতে পারে। যদি এই প্রযুক্তি ইজরায়েলের হাতে আসে, তাহলে ইরানের জন্য এটি দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু হবে না।