Amit Shah On Immigration: ভারত 'ধর্মশালা' নয়! জাতীয় নিরাপত্তা সবার আগে। অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে লোকসভায় 'ছক্কা হাঁকালেন' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ জোর দিয়ে বলেন যে রোহিঙ্গা হোক বা বাংলাদেশী, যদি কেউ ভারতে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে "। অবশেষে লোকসভায় পাশ হল নয়া অভিবাসন বিল (অভিবাসন এবং বিদেশি নাগরিক বিল, ২০২৫)।
এদিনই রাজ্যের শাসক শিবিরকে বিঁধে অমিত শাহ অভিযোগ করেন, 'তৃণমূল জমি না দেওয়ায় বাংলা সীমান্তের বেশ কিছু অংশে ফেন্সিং লাগানোর কাজ এখনও বাকী রয়েছে। একদিকে যখন লন্ডন সফরে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মুখ উজ্জ্বল, লগ্নি টানতে চেষ্টা চালাচ্ছেন ঠিক তখনই লোকসভায় দাঁড়িয়ে তৃনমূল সরকারকে বিঁধে শাহী গর্জনে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ, ২০২৫) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় দাবি করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তুষ্টির রাজনীতির কারণে, বাংলাদেশের সাথে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার সীমান্ত এখনও কাঁটাতারহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১০টি চিঠি এবং মুখ্য সচিবের সাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সাতটি বৈঠক সত্ত্বেও, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকরা পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্দিষ্ট জেলা থেকে আধার এবং ভোটার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে এবং ভারতীয় পরিচয় দিয়ে সেই নথি নিয়ে দিল্লিতে আসছেন'।
অশান্ত ভূস্বর্গ! বাতাসে ভেসে আসা বারুদের গন্ধ, সেনা-জঙ্গির তুমুল গুলির লড়াই, মৃত্যু মিছিল
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রস্তাবিত আইনটি দেশের নিরাপত্তা জোরদার করবে, অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে চাঙ্গা করবে, পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবাকে উৎসাহিত করবে'। বিল অনুসারে, যে কেউ ভারতে প্রবেশ বা দেশে থাকার জন্য বা বিদেশে পালিয়ে যেতে জাল পাসপোর্ট বা ভিসা ব্যবহার করলে সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
যারা অস্থিরতা ছড়াতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেব'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেন, "ব্যবসা, গবেষণা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মহৎ উদ্দেশ্যে যারা ভারতে আসছেন তাদের স্বাগত জানাতে আমাদের সরকার তৈরি। তবে যারা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করছেন বা করার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে"। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কে কে আসছেন, কতদিন থাকছেন দেশের নিরাপত্তার জন্য আমাদের এটা জানার অধিকার আছে। অনেক সময় মানুষ প্রশ্ন তোলে কেন আমরা শরণার্থীদের সাথে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করিনি। এর কারণ হলো অভিবাসনের ক্ষেত্রে ভারতের ট্র্যাক রেকর্ড পাঁচ হাজার বছর ধরে অনবদ্য এবং আমাদের কোনও শরণার্থী নীতির প্রয়োজন নেই"।
শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অধীনে, ভারত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এর মাধ্যমে ছয়টি প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। এদিন শাহ দুটি সংকল্পের প্রথম সংকল্প হল ২০২৭ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়া এবং দ্বিতীয়টি হল ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।