Fake Voter ID: বাংলাদেশি নাগরিকের এদেশে ভিন্ন নামে ভিন্ন এপিক নাম্বারে দুটি এপিক কার্ড। গ্রামে ওই ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই বলে দাবি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকপুকরিয়া এলাকায়।
ফের রাজ্যে বাংলাদেশি ভোটারের হদিশ? একই ছবি দিয়ে আলাদা আলাদা নামে জোড়া এপিক কার্ড! ভূতুড়ে কাণ্ড বনগাঁর ধর্মপুকুরিয়া পঞ্চায়েতে । বনগাঁয় ২ জনের ভোটার কার্ডে বাংলাদেশি নাগরিক সঞ্জয় বিশ্বাসের ছবি । ধর্মপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের একটি বুথে একই ছবি দিয়ে সুজন দাস ও সুজয় বিশ্বাসের নাম । সুজন ও সুজয়কে গ্রামে কেউ চেনেনই না, দাবি তৃণমূলের। নাম কাটার জন্য বিডিও ও কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছে তৃণমূল। অস্তিত্বহীন ভোটাররাই শাসক দলের ভোটব্যাঙ্ক, কটাক্ষ বিজেপির।
ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাপস মন্ডল সুকপুকুরিয়া এলাকার ভোটার তালিকা দেখিয়ে দাবি করেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির দুটি আলাদা নামে দুটি ভোটার কার্ড রয়েছে । ভোটার তালিকায় ওই ব্যক্তির একই ছবিতে এক্টিতে সুজন দাস নামে এবং অপরটিতে সুজয় বিশ্বাস নামে দুটি ভোটার কার্ড রয়েছে। ওই ব্যক্তির বাংলাদেশের পাসপোর্টে নাম রয়েছে সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায় । স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে এই ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা এই ব্যক্তিকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন । ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য প্রধান বিডিও ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন তৃণমূলের।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, তারা ঐ ব্যক্তিকে চেনেন না। তারা কখনও তাদের এলাকায় ওই ব্যক্তিকে দেখেননি। তারা চাইছেন ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হোক। বিজেপি দাবি করেছে এই কর্ম তৃণমূলের। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, "যেসব মানুষের অস্তিত্ব নেই তাদের ভোটার কার্ড দিয়ে ভোটার বানিয়ে পঞ্চায়েত ভোট, বিধানসভা ভোট, লোকসভা ভোটে কাজে লাগানো হচ্ছে। যে লোকটি জীবিত নেই তাদের ভোটও ওরা দিয়ে দিচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধানের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া প্রসঙ্গে দেবদাস মন্ডল বলেন, " নির্বাচন কমিশনের কাছে আর অভিযোগ জানালে পঞ্চায়েত প্রধানের পদটা থাকবে তো?"