Farmers are hopeful that mango yield will increase in Maldah this year due to favorable weather conditions: অনুকূল আবহাওয়ার থাকার কারণে এবার মালদহে আমের ব্যাপক ফলনের আশায় উদ্যানপালন দফতর এবং আম ব্যবসায়ীরা। চৈত্র মাস পড়লেও এখনও পর্যন্ত মালদায় কোনও ঝড়-বৃষ্টি অথবা শিলাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেনি। এক্ষেত্রে আমের ফলন বাড়ানোর জন্য অনেকটাই সুবিধা হয়ে গিয়েছে। তাই এখন থেকেই এবারের আমের ফলন নিয়ে দারুণ আশায় বুক বেঁধেছেন মালদার আম চাষিরা।
মালদহ জেলা উদ্যানপালন দফতরের উপ-অধিকর্তা সামন্ত লায়েক জানিয়েছেন, এবার মালদায় অনুকূল আবহাওয়া থাকার কারণে ব্যাপক পরিমাণ আমের ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর প্রায় চার থেকে সাড়ে চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জৈব পদ্ধতিগতভাবে আমের ফলন উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বিভিন্নভাবে চাষীদের নিয়ে আলোচনা শিবিরও করছে সংশ্লিষ্ট দফতর।
উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় এবছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমি জুড়ে আমের চাষ হচ্ছে। মালদার ১৫ টি ব্লকের কমবেশি সব জায়গাতেই আম উৎপাদন হয়ে থাকে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জলদি জাতের আম যেমন হিমসাগর, লক্ষণভোগ, আম্রপলি, জিলাপিগারা, গোপালভোগ পাড়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বাগানগুলিতে আমের ফলন ধরতে শুরু করেছে। শুধুমাত্র পরিষ্কার জল দিয়ে চাষিরা গাছে স্প্রে করলেই এই অনুকূল আবহাওয়ার কারণে রোগ পোকা দমন হওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'শুভেন্দু মার খেলে খুশি হতাম'! বঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ বাড়িয়ে ঝড় তুললেন কল্যাণ
মালদহ ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানিয়েছেন, এবছর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত আমের ফলনের মরশুমের সময় কোনও ঝড়-বৃষ্টি বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেনি। শিলাবৃষ্টিও হয়নি। ফলে বিভিন্ন বাগানগুলিতে আমের ফলন ধরতে শুরু করেছে। ছোট ছোট আমের গোড়াগুলিও শক্ত হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিষ্কার আকাশ এবং ঝলমলে রৌদ্রের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ পোকার আক্রমণ আম গাছে দেখা যায়নি। সুতরাং মনে করা হচ্ছে অনুকূল পরিবেশের কারণেই এবার আম চাষিরা ভালো ফল উৎপাদন করতে পারবেন।
উজ্জ্বলবাবু আরও বলেন, "ইতিমধ্যে জেলা উদ্যান পালন দফতর এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় মালদহ টাউন হলে দুই দিন ধরে আম চাষীদের নিয়ে সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে জৈব সার প্রয়োগ করা এবং কার্বাইডের ব্যবহার না করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে মালদহের আমের গুণগতমান যথেষ্ট উন্নত হবে।" ইংরেজবাজারের বেশ কিছু আম চাষিও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত গাছে কোনও রোগপোকার আক্রমণ দেখা যায়নি। ছোট ছোট অবস্থায় আম গাছে ধরতে শুরু করেছে। তবে কোনও ঝড়-বৃষ্টি যদি না হয়, তবে এবছর বিপুল মাত্রায় আমের ফলন হবে। সেই সঙ্গে ফলন ভালো হলে আমের দামও এবছর বেশ খানিকটা কমতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।