Joka-Majerhat Metro Purple Line: শহর কলকাতার লক্ষ লক্ষ মানুষের ‘লাইফ লাইন’ কলকাতা মেট্রো। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, বৃহত্তর কলকাতাও এখন কলকাতা মেট্রো নেটওয়ার্কের অংশ। কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা কার্যত ভ্রমণে বিপ্লব এনেছে। কমেছে যাতায়াতের সময়। পাশাপাশি চলছে একাধিক নতুন রুটে মেট্রো চালানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি মেট্রো করিডোরে কাজ চলছে জোর কদমে। কিছু কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডোর, এবং জোকা থেকে মাঝেরহাট মেট্রো করিডর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহের শেষ নেই। এই রুট চালু হলে হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ভ্রমণ সংক্রান্ত সমস্যা যেমন একদিকে মিটবে তেমনই পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব আসবে। এর মাঝেই জোকা মাঝেরহাট মেট্রো করিডোর নিয়ে সামনে এসেছে এক বিরাট আপডেট।
গতকালই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সুমিত সিংহল, পার্পল লাইনে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় (সিবিটিসি) সিগন্যালিং সিস্টেম পরিদর্শন করেন। পার্পল লাইনের জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সিবিটিসি সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করার জন্য সিআরএস পরিদর্শন এবং অনুমোদন বাধ্যতামূলক বলেই মেট্রো সূত্রে খবর।
এদিন সকালে পার্পল লাইনের জোকা ডিপো থেকে পরিদর্শন শুরু করেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। মাঝেরহাট স্টেশন পর্যন্ত একটি রেকে সিবিটিসি সিস্টেমের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল পরীক্ষা করা হয়। মাঝেরহাটে পৌঁছানোর পর, সিআরএস মাঝেরহাট স্টেশনে অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (ওসিসি)ও পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনুজ মিত্তল, প্রিন্সিপাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পিসিই) সহ মেট্রো রেলের অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
বছরের পর বছর ধরে, বেহালা এবং এর আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছাতে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই মেট্রো করিডর চালু হলে এই সকল অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটে যাবে বলেই আশা। পাশাপাশি জোকা-মাজেরহাট মেট্রো করিডর চালু হলে, দক্ষিণ কলকাতার পরিবহনে কার্যত বিপ্লব আসবে। পাশাপাশি কমবে ভ্রমণের সময়। সিআরএস পরিদর্শন শেষ হওয়ার সাথে সাথে, সকলের নজর এখন চূড়ান্ত অনুমোদন প্রক্রিয়ার দিকে। কলকাতার পার্পল লাইন কখন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।