Bangladesh News: মোহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে মৌলবাদের প্রচার করছেন! পদ্মাপাড়ে আরও সক্রিয় আইএসআই? মাথাব্যাথা বাড়ল ভারতের।
গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার দেশ ছাড়ার পর ভারতে এসে আশ্রয় নেন। এরপরই মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ভারত বিদ্বেষের বীজ। হিন্দুদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে মন্দিরে হামলা, চিন্ময় প্রভুর মত সন্ন্যাসীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি, বাদ যায় নি কিছুই। এরই পাশাপাশি বাংলাদেশে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হস্তক্ষেপও ইদানিং কালে বাড়তে শুরু করেছে। বেশ কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে আইএসআই-এর উদ্দেশ্য হলো দেশে উগ্র ইসলামী মতাদর্শকে আরও শক্তিশালী করা।
'দ্য সানডে গার্ডিয়ানে'র প্রতিবেদন অনুসারে, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে মৌলবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। উগ্রপন্থীদের উৎসাহ এবং আইএসআই-এর ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তা গুরুতর হুমকির মুখে। শেখ হাসিনা সরকারের পালাবদলের পর বাংলাদেশে এমন নীতি বাস্তবায়িত হয়েছে যার ফলে চরমপন্থী উপাদান দেশে মাথা চাড়া দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি ভারতের উদ্বেগও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূসের আমলে জামাতের চরমপন্থী সংগঠনের উপর আরোপ করা সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংগঠনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর সাথে সাথে, জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (আইসিএস)ও আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে, সংগঠনের বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ এবং সাম্প্রদায়িক হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
পাশাপাশি ইউনূস সরকার আটক হাসিনার আমলে আটক একাধিক সন্ত্রাসবাদীকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হল আল কায়েদার সাথে যুক্ত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান জসিমুদ্দিন রাহমানির, যাকে গত বছরের আগস্টে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে ইউনূস সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে।
বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠছে আইএসআই
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে উগ্রপন্থী মতাদর্শ প্রচারের অভিযোগ রয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে আইএসআই কক্সবাজারকে অস্ত্র চোরাচালানের প্রধান কেন্দ্র করে তুলেছে। এই অঞ্চলে আইএসআই-এর ক্রমবর্ধমান তৎপরতা ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের (এসএসজি) প্রাক্তন সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তে চরমপন্থী উপাদান এবং রোহিঙ্গাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (আইসিপিএস) এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিস্থিতি কেবল ভারতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে তাই নয় বরং বাংলাদেশের সামাজিক পরিকাঠামোকেও দুর্বল করে তুলছে।