এরাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথের ওপরই ভরসা রাখছে বঙ্গ বিজেপি। প্রথম দফার ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে এই তারকা বক্তারা জনসভা শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সাতটি করে সভা করবেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জনসভা করবেন আটটি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আগামী মাস থেকে জনসভা শুরু হয়ে যাবে। প্রথম সভা হবে বালুরঘাটের বুনিয়াদিপুর থেকে। তাছাড়া ৩ এপ্রিল ব্রিগেডে জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।"
রাজ্যে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এই তালিকা প্রকাশের পর কোচবিহার, বসিরহাট, তমলুক সহ বিভিন্ন আসনের প্রার্থী নিয়ে দলের অভ্যন্তরে তুমুল বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমনকী দলের রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক পদত্যাগ পর্যন্ত করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দাবি উঠেছে, স্থানীয় প্রার্থী নয় কেন? বহিরাগত প্রার্থী মানা হবে না। তার জেরে পড়েছে একাধিক পোস্টার। কোচবিহারে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ প্রশ্ন করেছেন, স্রেফ কয়েক সপ্তাহ আগে তৃণমূল থেকে আসা নেতাকে কেন প্রার্থী করা হল? প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই ঝঞ্ঝাট নিয়ে কড়া বার্তা দিতেই এদিন দক্ষিণবঙ্গের সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতিদের ডাকা হয়েছিল এদিনের সভায়।
আরও পড়ুন: General Election 2019: তিন সপ্তাহ আগে দলে যোগ, আজ লোকসভার প্রার্থী
মূলত লোকসভার প্রার্থী নিয়ে অশান্তি নিরসন করতেই শনিবার লোকসভার প্রার্থী ও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব এক বৈঠকে বসে আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের সভাগৃহে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও লোকসভার প্রার্থী তালিকার কোনও প্রকার রদবদল হবে না। দলে থাকতে হলে এই সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করতে হবে। এদিনের সভায় ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ রাজ্য নেতৃত্ব।
অরবিন্দ মেনন সভায় বলেন, ''লোকসভায় প্রার্থী না হলেও আক্ষেপ করার কিছু নেই। সামনে আরও সুযোগ আসবে। আপনি ট্রেন চলে গেলে রাগ করে অন্য ট্রেনের অপেক্ষা না করে বাড়ি চলে যেতে পারেন। তা বলে ট্রেন কি আপনার বাড়িতে চলে যাবে? এসব না ভেবে প্রত্যেককে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। বুথে পড়ে থাকতে হবে।''
এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ জানান, "এই বিক্ষোভের পিছেন অন্য রাজনৈতিক দলের মদত রয়েছে। তবে দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, প্রার্থী পরিবর্তনের কোনও প্রশ্ন নেই।"