উনিশের ভোটযুদ্ধে বিজেপি ও শিবসেনা একসঙ্গে লড়বে, একথা ক’দিন আগেই বলেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তবে কি মনোমালিন্য কাটিয়ে আবারও বিজেপির হাত ধরবে শিবসেনা? দেবেন্দ্র ফড়নবীশের কথায় এমন জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনা আরও উস্কে গেল। লোকসভা ভোটের দিন যত এগোচ্ছে, ততই বিজেপি-শিবসেনা সম্পর্ক যেন নয়া মোড় নিচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রায়শই সুর চড়াত শিব সেনা। কিন্তু শিব সৈনিকদের গলার সেই চড়া সুর যেন বদলাচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্যের বাণ যেন থমকে গিয়েছে।
তবে কি শেষমেশ মতবিরোধ কাটিয়ে ভোটের ময়দানে একসঙ্গেই লড়ছে বিজেপি-শিবসেনা? দুই দলের হঠাৎ এই পরিবর্তন দেখে দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও জোট নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এক শিবসেনা নেতা বললেন, ‘‘বিজেপির প্রতি সেনার মনোভাবের বদল হয়েছে। বিশেষত মারাঠা সংরক্ষণ আইনের পরই এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে।’’ ওই শিবসেনা নেতা আরও বললেন, উত্তরপ্রদেশে উদ্ধব ঠাকরের সফরে বিজেপি সরকার যে বন্দোবস্ত করেছিল, তখন থেকেই এই বদল চোখে পড়েছে।
আরও পড়ুন, বিজেপির সঙ্গেই ভোটে লড়ছে শিব সেনা? ফড়নবীশের কথায় জল্পনা
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ইস্যুতে বহুবার বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে সেনা। সম্প্রতি রাম মন্দির নির্মাণ নিয়েও মোদীবাহিনীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে মারাঠা সংরক্ষণ আইনের পরই দুই দলের সম্পর্কের রসায়ন অন্য মাত্রা নিয়েছে। ওই আইনের পরই নিজেদের মুখপত্র ‘সামনা’-তেও বিজেপি বিরোধী শব্দ কম খরচ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ও মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও শিবসেনা জোট গড়তে পারে, একথা তাঁদের বলেছেন খোদ ফড়নবীশ, এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মহেশ লান্ডগের ভাই কার্তিক লান্ডগে। কার্তিক জানিয়েছেন, এ কারণেই তাঁরা কোনও সেনার নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন না। ক’দিন আগেই একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন শিবসেনা সাংসদ শ্রীরাঙ্গ বার্নে ও বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ জাগতপ। কিন্তু দুই নেতার মধ্যেই সেই লড়াই হঠাৎই থেমে গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র মাধব ভান্ডারি বলেছেন, ‘‘বিজেপি বরাবরই সেনার সঙ্গে জোট গড়তে চায়। আমরা আমাদের ভোট ভাগাভাগি হতে দিতে চাই না। এখন সেনার কোর্টে বল।’’
Read the full story in English