scorecardresearch

‘আগামী বছর মমতাকে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ করার অনুমতি দেব’

বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শহিদের ঘটনায় কেন দোষীদের শাস্তি হল না, কেন প্রকাশ হল না কমিশনের রিপোর্ট?

political flag

২১ জুলাই শহিদ দিবসে ফের তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরে বড় জনসভা করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শহিদের ঘটনায় কেন দোষীদের শাস্তি হল না, কেন প্রকাশ হল না কমিশনের রিপোর্ট? বঙ্গ বিজেপির বক্তব্য, পরের বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালিঘাটের বাড়িতে বোধহয় ফিরে গেল তৃণমূল দল, মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা।

শহিদ দিবস পালন করলেও দোষীদের কেন সাজা দিতে পারছে না তৃণমূল সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস শহিদদের নিয়ে রাজনীতিতে পুঁজি করেছে। কিন্তু একজন দোষীকেও সাজা দিতে পারলেন না কেন? সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, ৫ কোটি টাকা খরচের ২১ জুলাই কমিশনের কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করার সহস কেন দেখাচ্ছে না মমতার সরকার?

আরও পড়ুন- একুশের মঞ্চে বাঁঝহীন মমতা, শঙ্কিত নাকি কৌশলী?

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেস। হাসপাতালের বেডের অভাব নেই, ১০ কোটি মানুষকে রেশন দিচ্ছেন, উন্নয়নের কথা বললেন। সবই মিথ্যা। টেস্ট কমিয়ে সংখ্যা কমানোর চেষ্টা চলছে। তিনি নাকি কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন যা নাকি করোনার জন্য হল না। ৯ বছরে শুধু ধোকা খেয়েছেন কর্মপ্রার্থীরা।” সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। অধীরের দাবি, “ভার্চুয়াল জনসভার ফলে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাবে। এলাকায় এলাকায় লোক জমায়েত করে তাঁর বক্তব্য শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই লকডাউন ঘোষণা করছেন।”

আরও পড়ুন- ২১শে অন্য মুডে ধর্মতলা চত্বর, কী দিশা দেখাবেন দলনেত্রী?

তৃণমূলনেত্রী এদিন বলেছেন ২০২১-এ সরকারে এসে বিজয় সমাবেশ করবেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এবার ২১ জুলাই ডিম-ভাত খাোয়াতে পারলেন না। আমি বলে দিচ্ছি আগামী বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি ভাষণ দিতে পারবেন না। আমরা অনুমতি দেব। আটকাবো না। কোর্টে যেতে হবে না। কিন্তু ২১ জুলাই ২১ জন লোকও আনতে পারবেন না।” এদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, “অমিত শাহর ভার্চুয়াল জনসভার পাঁচ ভাগের এক ভাগ শ্রোতা এই মিটিং-এ বক্তব্য শুনেছেন। ফেসবুক লাইভে নামমাত্র সংখ্যা লোক, করোনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত তৃণমূলের। এই সভা প্রকাশ্যে হলে এত হাস্যকর হত যে মুখ লুকানোর জায়গা হত না। কালীঘাটে ঢুকে মর্যাদা বেঁচে গিয়েছে।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App.

Web Title: 21 july tmc virtual rally reactions bjp congress cpm