মধ্য়প্রদেশে রাজনীতিতে নয়া মোড়। কংগ্রেসের যে ২২ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের জন্য় কমলনাথ সরকারের পতন হয়েছে, সেই বিধায়করা শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। শনিবার নয়া দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও সদ্য় কংগ্রেস ত্য়াগী বিজেপি নেতা জ্য়োতিরাদিত্য় সিন্ধিয়ার সঙ্গে দেখা করেন ওই ২২ বিধায়ক। উল্লেখ্য়, সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্য়াগের পরই ইস্তফা দিয়েছিলেন ওই ২২ বিধায়ক। এরফলে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কমলনাথ সরকার।
টানা কয়েকদিনের টানটান নাটকের পর শুক্রবার মুখ্য়মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কমলনাথ। এই সিদ্ধান্তের পরই মধ্য়প্রদেশে কমলনাথ সরকারের পতন কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। দলের ২২ বিধায়কের ইস্তফার জেরে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল কমলনাথ সরকার। শেষমেশ বাধ্য় হয়েই পদত্য়াগ করতে হয় কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতাকে। উল্লেখ্য়, ২০১৮ সালে সে রাজ্য়ে ১১৪টি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছিল কংগ্রেস। মধ্য়প্রদেশে সরকার গড়তে কংগ্রেসের হাত ধরেছিল সপা, বসপাও।
আরও পড়ুন: আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা কমলনাথের
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা জ্য়োতিরাদিত্য় সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পরই মধ্য়প্রদেশে সরকার বদলের আভাস মিলেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সে রাজ্য়ে সিন্ধিয়ার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য়। কিন্তু সেই সিন্ধিয়াই যখন রাজনৈতিক শিবির বদলালেন, তখনই কার্যত মধ্য়প্রদেশে কংগ্রেসের ভিত নড়ে গেল। সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে গেরুয়াবাহিনী বাজিমাত করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন, রাজ্য়পালের কাছে পদত্য়াগপত্র পাঠানোর আগে বিজেপিকে নিশানা করে কমলনাথ বলেন, বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি করছে। উল্লেখ্য়, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর রিসর্টে আটকে রাখা হয়েছিল বলে আগে দাবি করেছিলেন কমলনাথ। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছিল বিজেপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন